নিউজ পয়েন্ট সিলেট
বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১
সিলেটের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এমপি বটবৃক্ষের ভূমিকায় অবর্তীণ হয়েছেন। ভয়াবহ করোনা মহামারীতে এই বটবৃক্ষের নিচে সিলেটের মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলো। জরাজীর্ণ শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালকে দেশের অন্যতম ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে রুপান্তর। ওসমানী হাসপাতালে করোনা টেস্ট এর জন্য পিসিআর মেশিন স্থাপন, আবুসিনা ছাত্রাবাসের স্থলে ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতাল নির্মাণ, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন,করোনাকালে অক্সিজেন সরবরাহ করা, ওসমানী হাসপাতালে উন্নতমানের অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করার ব্যবস্থা করা,পাশে ১৫ তলা ভবন নির্মাণ এবং এখানে ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং শিশুরোগ বিভাগ চালু করা।
প্রতিটি ক্ষেত্রে অন্য সবার চিন্তা যখন একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে, তখন ড. মোমেন যোজন যোজন এগিয়ে। তাঁর এই স্মার্ট চিন্তা ভাবনার কারণেই সিলেট আজ একটি আধুনিক এবং ডিজিটাল নগরী।
সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে অনেক মানুষকে ফ্লোরে কিংবা বারান্দায় শোতে হয়। এই খবরে ড. মোমেন খুবই মর্মাহত হন। তিনি এই অমানবিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে চান। আর সে লক্ষে সিলেটের এই কৃতি সন্তান এবার হাত দিয়েছেন বিশাল এক কর্মে। তিনি ওসমানী হাসপাতালের পাশেই ‘ওসমানী হাসপাতাল-২’ নির্মাণ করতে চান।
এব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা নিতে আসা মানুষ স্থান না পেয়ে ফ্লোরে থাকবে এটা সত্যি আমার কাছে খুব খারাপ লাগে। ‘ওসমানী হাসপাতাল-২’ এর নির্মাণ কাজ শেষ হলে আশা করি এ সমস্যা থাকবে না। ইতোমধ্যে হাসপতালের জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে, খুব শীঘ্রই নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সিলেটে আরো হাসপাতাল নির্মাণ করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি এবং প্রবাসী উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসতে পারেন।
সূত্র-সিলেট প্রতিদিন