নিউজ পয়েন্ট সিলেট
বুধবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২২
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে শহীদুল ইসলাম বকুল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার ফলে এলাকায় আনন্দের বদলে আতংক বিরাজ করছে।তার এ বিজয় আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য সুখকর হলেও সাধারণ মানুষ এবং নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের জন্য বিপদের কারন হয়ে দাড়িয়েছে। সরকার দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে বিজয় ছিনিয়ে আনলেও সাধারণ মানুষের মন জয় করতে পারেননি। বরং তার কারনে ইতিমধ্যে এলাকার বহু লোক বাড়ীঘর ছেড়ে পালিয়েছেন।
এলাকাবাসী ও ভোটাররা জানান, চিলাউড়া গ্রামের বাসিন্দা জগন্নাথপুরউপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম বকুল চারবার নির্বাচনে ব্যর্থ হওয়ার পর ও এবার তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে তার উপর একাধিক মামলা থাকার কারনে দলের পক্ষ থেকে সমর্থন পাননি, কিন্তু স্থানীয় সাংসদ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের সহযোগিতায় প্রার্থী হয়ে প্রভাব বিস্তার করে এবার জয় ছিনিয়ে নিতে পেরেছেন।
গত ২৬ ডিসেম্বর রোববার অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকে ৫ হাজার ১ ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। তবে তার এ বিজয় আনতে তাকে কোট কৌশল ও প্রভাব বিস্তার করতে হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান,বকুল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও তার দ্বারা সাধারন মানুষের কল্যান হবে এটা আশা করা যায় না। বরং তার দ্বারা সাধারন মানুষের ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি।নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীকে ভোট দেওয়ায় প্রান ভয়ে ইতিমধ্যে এলাকার অনেক লোক বাড়ীঘর ছেড়ে পালিয়েছেন।
৫নং চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আরশ মিয়া বলেন, প্রহসনের নির্বাচনে সরকারী মদদে শহীদুল ইসলাম বকুল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার এ বিজয়ে স্হানীয় জনগনের আশা আকাংখার কোন প্রতিফলন ঘটেনি। বরং এলাকায় ক্ষতির আশংকাই বেশি।
ইউনিয়নের একাধিক বাসিন্দা জানান,বকুল মিয়ার লোকজন ছাড়া এলাকার সাধারণ জনতা কেউই ভোট দেওয়াতো দূরের কথা ভোট কেন্দ্রেই ঢুকতে পারেনি এবং ভয়ে অনেক বাড়ি থেকেই বের হতে পারেনি। ফলে বকুলের লোকজনই ইচ্ছামত ভোট দিয়ে তাকে বিজয়ে করেছে।
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম বকুলের বিজয় ধ্বনি যেন সকলের জন্য সুখকর হয় এটাই ইউনিয়নের সাধারন মানুষের প্রত্যাশা।