লকডাউন শিথিল হওয়ায় এবার বেড়েছে কাজের চাপ। তাই রাতদিন পরিশ্রম করে নিপুণ হাতে তৈরি করছেন দেবী দুর্গাকে। করোনা পরিস্থিতিতে যেন স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত না হয় সে ব্যাপারে প্রস্তুতি নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরাও।
শিল্পীর নিপুণ হাতে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। কারিগররা ফুটিয়ে তুলছেন দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ ও কার্তিকের প্রতিমা। কোনো মণ্ডপে চলছে কাঠামো তৈরি আবার কোথায় করা হচ্ছে মাটির কাজ।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব ঘনিয়ে আসায় ঝিনাইদহে যেন দম ফেলার ফুরসত নেই কারিগরদের। করোনাকালে বেড়েছে সব উপকরণের দাম। তাইতো এবার খরচ একটু বেশি বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
কারিগররা বলেন, ভোর ৬টা থেকে কাজ শুরু করে রাত ৪টা পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে আমাদের। ৬টা প্রতিমার কাজ করছি, কিছু টাকা-পয়সা পাচ্ছি তাই আমাদের খুব উপকার হচ্ছে। আগেরবার ৩ জন একসঙ্গে কাজ করতাম কিন্তু এবার ৩ জনে হচ্ছে না। লোক বাড়ানো হলেও দিনরাত কাজ করতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুর্গোৎসব পালনে সব প্রস্তুতির কথা জানান পূজা উদযাপন কমিটির নেতা।
ঝিনাইদহ সদরের পূজা উদযাপন পরিষদের পরিচালক উত্তম কুমার গাঙ্গুলী বলেন, পূজায় যেন আমরা কোনোপ্রকার স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে না পড়ি সে জন্য আমরা ইতোমধ্যে কিছু নির্দেশনা আমাদের পূজারিদের ও পূজামণ্ডপগুলোতে দিয়েছি।
এদিকে দুর্গাপূজায় সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন পুলিশ কর্মকর্তা।
ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিটি মণ্ডপের গুরুত্ব অনুধাবন করে সেখানে নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকি। ইতোমধ্যে আমাদের পরিকল্পনা চলমান আছে। আমরা আশা করি এ কাজ খুব শিগগিরই শেষ করতে পারব।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দেওয়া তথ্যমতে, এ বছর জেলার ৬ উপজেলায় ৪৩২টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা। আগামী ১১ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে আনুষ্ঠানিকতা।