
নিউজ পয়েন্ট সিলেট
বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৩
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নের চতুল-ঈদগাহ বাজারে মৃত গরুর মাংস বিক্রি করার অপরাধে এক মাংস ব্যবসায়ীকে ২ মাসের কারাদন্ড ও নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২অক্টোবর) সকাল ১০টায় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমেদ মৃত গরুর মাংস বিক্রির অপরাধে স্থানীয় মুক্তাপুর গ্রামের ফকির আলীর ছেলে ফখরুল ইসলামকে আটক করেন।
পরবর্তীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মামলা দায়েরের মাধ্যমে তাকে ২ মাসের কারাদন্ড ও নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমেদ।
স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টায় ফখরুল ইসলাম ও তার আরও ২ সহযোগীকে নিয়ে বাজারে গরুর মাংস বিক্রি করতে থাকেন। অনেক ক্রেতা মাংস ক্রয় করে বাড়িতে নিয়ে গেলে পঁচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি তাৎক্ষণিক বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নুরুল আম্বিয়াসহ নেতৃবৃন্দকে জানান।
পরে সমিতির নেতৃবৃন্দ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাজারে গিয়ে দেখতে পান মাংস থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
এসময় ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম মাংসের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় রায়পুর গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে নাজিম উদ্দিন তাকেসহ আব্দুল বাছিত ও আব্দুল হামিদকে ১৫’শ টাকা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে মৃত গরুর মাংস বিক্রি করতে বলেছে।
খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমেদ জানতে উপজেলা ফুড ইন্সপেক্টর আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা প্রাণি-সম্পদ অফিসের কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনকে নিয়ে চতুল ঈদগাহ বাজারে যান।
পরবর্তীতে প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মাংস পরীক্ষা করে মৃত গরুর পঁচা মাংস হিসেবে সনাক্ত করেন। তখন মৃত গরুর পঁচা মাংস জব্দ করে পরবর্তীতে বাজারের পাশে মাটির গর্তে আগুনে পুড়িয়ে ফেলেন ভূমি কমিশনার ফয়সাল আহমেদ।
এব্যাপারে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমেদ বলেন, মাংস বিক্রির বিষয়টি মাংস ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম স্বীকার করলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে ২ মাসের কারাদন্ড ও জরিমানা করা হয়।মাংস ব্যবসায়ীকে থানা পুলিশের মাধ্যমে সিলেট জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।