প্রতি বছর এই সময় ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনাগোনায় জমজমাট হয়ে উঠত কোরবানি পশুর হাট। কিন্তু এবার করোনার সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখিতে বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন। নগরীর প্রধান হাট সাগরিকাসহ সব হাটই সুনসান।
তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন তিনটি স্থায়ী পশুর হাটসহ ৬টি হাট বসানোর পরিকল্পনা করছে। সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে স্থায়ী তিনটি হাটসহ মোট ৬টি হাট চট্টগ্রামে বসার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য বছর কোরবানিতে পরিবারের অনেক সদস্য মিলে হাটে যাওয়ার রেওয়াজ থাকলেও এবার আমরা শুধু পরিবারের একজনকে হাটের যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করছি। এ ছাড়া হাটে জনসমাগম এড়াতে বাজারের এক পাশ দিয়ে প্রবেশ এবং অন্য পাশ দিয়ে বের হওয়ার ব্যবস্থা রাখা হবে।
তবে হাটগুলোতে সংক্রমণ ঠেকানোর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ চট্টগ্রামে সংক্রমণের যে ঊর্ধ্বগতি তাতে অধিক জনসমাগম পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর দিকে নিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে আসন্ন কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই।
এ অবস্থায় সারা বছর ধরে বিনিয়োগ করা ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন লাভ-লোকসানের হিসাবে। গরু ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে মানুষ হাটে আসবে কিনা তা নিয়ে তারা দ্বিধায় আছেন। কোরবানি জন্য সারা বছর ধরে লালন-পালন করা গরুর দাম কেমন পাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তা কাজ করছে। সেই সঙ্গে মানুষের হাতে টাকা না থাকায় গরু বিক্রি যাবে কিনা তা নিয়েও তারা চিন্তিত। লকডাউনে জন্য এখনো হাটে গরু উঠা শুরু হয়নি। তবে ব্যবসায়ীদের সব প্রস্তুতি নেওয়া আছে।
সাগরিকা হাটের ইজারাদার মোহাম্মদ আলী জানান, হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার সব ধরনের ব্যবস্থা তারা নিশ্চিত করছেন। এক্ষেত্রে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্ক সরবরাহ করার পাশাপাশি হাটে প্রবেশের মুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার করার ব্যবস্থা করা হবে। প্রতি বছর কোরবানির ঈদে চট্টগ্রামে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার সাড়ে তিন লাখ পশু বেচাকেনা হয় বলে জানান