নিউজ পয়েন্ট সিলেট
শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩
হাজী মোঃ মৌলুল হোসেন সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৩০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম হাজী আবুল হোসেন (আবু চাঁন স্বরপঞ্চ) মাতা মরহুমা জমিলা খাতুন।
সিলেটের এক প্রতিবাদি কন্ঠ। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম বট বৃক্ষ হাজী মোহাম্মদ মৌলুল হোসেন। ১৯৬৯ ইংরেজি সিলেট বঙ্গবন্ধু আগমনের তৎকালীন মুজিব ভাই রিসিভ কমিটির কনভেনার এর দায়িত্ব পালন করেন। বঙ্গবন্ধু যে চেয়ারে বসে মিটিং এ উপস্থিত বক্তৃতা করেন সেই চেয়ার জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রথম ক্ষমতায় আসার পরে আফটার ৯৬ ইংরেজি ৩২নম্বর কে জাদুঘরে রূপান্তর করেন তখন সেই চেয়ার হাজী মৌলুল হোসেন জাদুঘরে চেয়ারটি দান করেন নেত্রী একটি রশিদ দেন এবং রশিদ এর লেখা ছিল আমার বাবার সিলেট থেকে কোন স্মৃতি পাইনি একটি চিঠি পেলাম।১৯৭০ শুরুর দিকে সিলেট সদর আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। দক্ষিণ সুরমা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন তিনি। ১৯৭৭ জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন তিনি। তিনি আমৃত্যু জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী কালে রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। চেয়ারম্যান থাকাকালীন হাজার 1972 সালে এসএসসি পরীক্ষা দেন এবং উত্তীর্ণ হন । মধ্যবয়সে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কারণ ও যথেষ্ট ছিল। তৎকালীন ৯ নং মোল্লারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (সরকার কতৃক) মনোনীত চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। হাজি মৌলু ল হোসেন 21 সন্তানের জনক 17 ছেলে চার মেয়ে। স্বাধীনতা-উত্তর উনার উপর গুলির অর্ডার ছিল। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক বঙ্গবন্ধুর ডাকে প্রথম সিলেট আখালিয়া বিডিআর ক্যাম্প আক্রমণ করেন নিজস্ব লাইসেন্সধারী বন্দুক নিয়ে। সহযোদ্ধা সহকর্মী নিয়ে। জীবনে তিন চারবার জেল খাটতে হয় উনাকে। স্বাধীনতা কালীন দেওয়ান ফরিদ গাজী সাহেবের নেতৃত্বে দক্ষিণ সুরমা প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন। সি আর দত্ত কে রেলস্টেশন থেকে ফিরিয়ে দেন দক্ষিণ সুরমা আমার দায়িত্বে আছে।19 75 -15 ই আগস্ট জাতির মর্মান্তিক দুর্ঘটনার প্রতিবাদে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। জিয়াউদ্দিন লালার সহযোগিতায় একটি কমিটিও গঠন করেন সে কমিটিতে নিজে আহবায়ক যুগ্ন আহবায়ক দায়িত্ব পালন করেন আবু হোসেন (বর্তমান টিচার অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি সর্ব বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি) অনেক সংগঠনের সহিত জড়িত ছিলেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, হত্যা রাহাজানি জুলুম প্রতিরোধ কমিটি, প্রবীণ হিতৈষী সংঘ,।
হাজী সাহেব অনেক মাপের ব্যবসায়ী ছিলেন।
সামরিক জান্তা বিভিন্ন সময় এরেস্ট করে, স্পেশিয়ালি জিয়া সরকারের আমলে তাহার অনেক ব্যবসায়ী লাইসেন্স ক্যানসেল করে দে য়। জুলুম-নির্যাতনের শিকার একুশ বছর সামরিক সরকারের আমলে।
তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন এক্সপোর্ট ইমপোর্ট। ষ্টেশন রোডের এলাহি বোডিং এর স্বত্বাধিকারী। ষ্টেশন রোডের বাজার কমিটির সভাপতি ছিলেন ৪০ বছর। তিনি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ সভাপতি ছিলেন। গণদাবি পরিষদের জেলার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ছিলেন তিনি। তিনি তাহার এলাকায় মসজিদ ও স্কুলের ভূমি দাতা। তাহার নিজ নামে মসজিদ আছে দক্ষিণ সুরমা ষ্টেশন রোডে। খিত্তা গোপশহর মাদ্রাসায়ে মদিনাতুল উলুমে হাজী মৌলুল হোসেন হল। লতিপূর বেটূর মুখ হাজী মৌলুল হোসেন নামে মসজিদ আছে।
এখানে উল্লেখ যে আমি কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে সাহিত্য আসরে নিয়মিত সাহিত্য পাঠে অংশগ্রহণ করতেন। । হাজী মৌলুল হোসেন একজন স্বভাব কবি ছিলেন। তিনি নিয়মিত কবিতা ও ছড়া লিখতেন। তিনি দক্ষিণ সুরমা সাহিত্য পরিষদের আমৃত্যু সভাপতি ছিলেন। সবচেয়ে মজার বিষয় উনি 70 বছর বয়স কালী না হোমিওপ্যাথিক কলেজে ভর্তি হন 90 দশকের পরে এবং ওই কলেজের ডিপিও নির্বাচিত হন এবং হোমিওপ্যাথিক ডক্টর ডিগ্রী অর্জন করেন। উনি বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে ভূমিকা রাখেন। উনি একজন আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন ধর্মপ্রাণ স্ট্রং মুসলিম ছিলেন। জীবনের শুরুতে উনি সেনাবাহিনীতে চাকরির যোগদান করেন কিন্তু ট্রেনিং সহ্য করতে না পেরে চাকরি ছেড়ে নাম পরিবর্তন করে তখন (নাম ছিল মোহাম্মদ আমির হোসেন) রাজনীতি ও ব্যবসার সাথে জড়িত ১৯৪৭ ইংরেজি 22 এপ্রিল সিলেটের হাজার হাজার ছাত্রজনতা কৃষক শ্রমিক শুভযাত্রা সহকালে ইংরেজি ডিসি ডাম ব্র্যাকের অফিস ঘেরাও করলে জনাব হাজী সাহেব ও যুব নেতা ধলাবারী ডিসি র অফিসের উপর ঝুলিয়ে রাখা পতাকা নামিয়ে মুসলিম লীগের পতাকা উড়ান। তিনি ভাষা আন্দোলন হাজার 1954 সালের যুক্তফ্রন্ট গঠন বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন,
অনেক অনেক মসজিদ মাদ্রাসা স্কুল কলেজ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন ম্যানেজিং কমিটিতে
উল্লেখিত গোপ শহর খিত্তা মাদ্রাসা ভার্থখলা মাদ্রাসা কাজির বাজার মাদ্রাসা ইনাতাবাদ মাদ্রাসা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। মকন মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সেক্রেটারি দায়িত্ব পালন করেন।
Bangladesh Legal Aid and Services Trust (BLAST) ভলেন্ডারী ওয়ার্ক করেন।
২০০৫ সালে এই গুণিজন আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে যান। সাহসী এই নেতাকে তাহার কর্মের জন্য সিলেট তথা দক্ষিণ সুরমা ও প্রিয় এলাকাবাসি আজীবন মনে রাখবে। আমি এই শ্রদ্ধেয় পিতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
বড় ভাই মোহাম্মদ রাজ্জাক হোসেন
দীর্ঘ 20 বছর যাবৎ দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক-
বর্তমান উপজেলা আওয়ামী সহ-সভাপতি
মোহাম্মদ আমিন হোসেন।
যুক্তরাজ্য বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা।
আরেক ভাই মোঃ মুমিন হোসেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি
“সর্ব ইউরোপ বঙ্গবন্ধু পরিষদ”
সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মুজিব হোসেন
যুক্তরাজ্য বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা
মোহাম্মদ নিজাম হোসেন ( সবুর)
প্রয়াতঃ মরহুম মোসাদ্দেক হোসেন মুসা দক্ষিণ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন-আহবায়ক ছিল।
আমার দাদা মরহুম হাজী আবুল হোসেন ১নং মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত স্বরপঞ্চ ছিলেন।
রাজনৈতিক জীবনের প্রথম পর্যায়ে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন পরবর্তীতে ঘাটের জিতু মিয়ার নেতৃত্বে কংগ্রেস রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যায় ১৯৯৩ সালে পরলোক গমন করেন।