ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে জানা গেছে, এ ঘটনায় খুন হওয়া ছাগলটির মালিক রাধা দেবী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ইতোমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
রাধা দেবীর অভিযোগ, তার পোষ্য পুরুষ ছাগলটি প্রতিবেশী সিপু রাম নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে গিয়েছিল। সিপুর একটি পোষ্য স্ত্রী ছাগল রয়েছে। তার কাছে যাওয়ায় সিপু লাঠি দিয়ে তার পুরুষ ছাগলকে মারেন।
রাধা আরও বলেন, ‘আমি ক্ষেতে কাজ করছিলাম। আমাকে এসে একজন এই ঘটনার কথা বলে। আমি দৌড়ে গিয়ে দেখি সিপুর বাড়ির উঠোনে আমার ছাগল পড়ে রয়েছে। পাশে সিপু লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে ছিল। সিপু আমাকেও ভয় দেখায়।’
এ ঘটনার পরেই গ্রামের এক পুলিশ সদস্য রাধাকে থানায় অভিযোগ জানাতে বলেন। তখনই মোহনিয়া থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। রাধা বলেন, ‘আমি চাই পশু হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ করার জন্য সিপুর কঠিন শাস্তি হোক। আমি পুরো ঘটনা পুলিশকে জানিয়েছি।’
এই প্রসঙ্গে মোহনিয়া থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পশুকে পিটিয়ে মেরে ফেলার একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগকারী নারী তার সঙ্গে মৃত পুরুষ ছাগলটির মরদেহ থানায় এনেছিলেন। মরদেহটি ভেটেরনারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই ময়নাতদন্ত হবে।
ভেটেরনারি হাসপাতালের চিকিৎসক রবি শঙ্কর বলেন, ‘ময়নাতদন্ত হয়েছে। তিন-চার দিনের মধ্যেই রিপোর্ট চলে আসবে।’