নিউজ পয়েন্ট সিলেট
সোমবার, ৪ অক্টোবর, ২০২১
ডাকাতি মামলায় দুই বছরের সাজা হয় মাহমুদুল হাসান ওরফে মঞ্জুর। এই সাজার ভয়ে তিনি দীর্ঘ ২৮ বছর পর পলাতক ছিলেন। তবে শেষ পর্য়ন্ত তাকে সাজা ভোগ করতে হচ্ছে।
রোববার (৩ অক্টোবর) ভোরে নরসিংদীর শিবপুর থানার সৈয়দেরখোলা এলাকা থেকে মাহমুদুল হাসান ওরফে মঞ্জুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তার মাহামুদুল হাসান ওরফে মঞ্জু (৫৩) একই এলাকার মৃত আবদুল জলিলের ছেলে।
২৮ বছর আগে মাহামুদুল হাসানের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি ডাকাতির মামলা হয়। ওই মামলায় পলাতক থাকা অবস্থায় দুই বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
র্যাব-১১ সিপিএসসি নরসিংদীর ক্যাম্প কমান্ডার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌহিদুল মবিন খান তার কার্যালয়ে বিকেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা জানান।
তৌহিদুল মবিন বলেন, অভিযুক্ত ডাকাতের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৮ বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করা হয়েছিল এবং ১৯৯২ সালে থেকে তার বিরুদ্ধে দুই বছরের সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। এরপর থেকে সে বিদেশে বিশেষ করে সৌদিআরব ও কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পালিয়ে বেড়ায় এবং দীর্ঘ ২৮ বছর বিদেশে আত্মগোপন করে থাকে। ২০০৩ সালে সে দেশে এসেছিল এবং প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে দ্বিতীয় বিয়ে করে আবার বিদেশ পালিয়ে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন সময় সে দেশে এসেছিল বলে জানা যায়। ইতিমধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে পলাতক অবস্থায় দোষী সাব্যস্ত করে সাজা প্রদান করা হয়। যেহেতু এটি ২৮ বছর পুরনো ছিল এবং সে পলাতক ছিল, সে কারণে তাকে গ্রেপ্তার করার সম্ভাবনা প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু হঠাৎ ফিরে আসার তথ্য পাওয়ার পর র্যাব-১১ নরসিংদী দীর্ঘ দিনের অপেক্ষমাণ সাজা ওয়ারেন্ট সংগ্রহ করে তাকে খুঁজতে শুরু করে। সে প্রায় ৬ মাস পূর্বে দেশে ফিরেছে। দীর্ঘদিন খোঁজাখুজির পর গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে এক আত্মীয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে।