নাসার চাঁদে নভোচারী পাঠানো প্রকল্পের আওতায় সেখানে ফোরজি/এলইটি কমিউনিকেশন সিস্টেম তৈরি করবে নোকিয়া। কিন্তু পৃথিবীতে ফাইভজি নেটওয়ার্ক চালু থাকলেও চাঁদে কেন ফোরজি স্থাপন করা হচ্ছে এ নিয়ে প্রশ্ন অনেকেরই। তবে নোকিয়া এর ব্যাখ্যাও দিয়েছে।
নোকিয়ার ওয়েবসাইটে তারা জানিয়েছে, ফাইভজি নেটওয়ার্কের সিগনাল খুব কম দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে কিন্তু ফোরজির নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে এমন কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। যার ফলে ফোরজি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস সেন্টার (আইএসএস), লুনার রোভার ও নভোচারীর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে।
নোকিয়া জানিয়েছে, ফোরজি নেটওয়ার্কের সাহায্যে চন্দ্রপৃষ্ঠের হাই ডেফিনিশনের ভিডিও স্ট্রিমিংও করা যাবে।
তবে পিটিসিএসআইআইএন এর প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী রবার্ট বুমে মনে করেন, এই ফোরজি নেটওয়ার্ক অ্যানালগ নেটওয়ার্কের চেয়ে অনেক বেশি শক্তি সাশ্রয়ী এবং এর মাধ্যমে ভবিষ্যতের মহাকাশ যোগাযোগের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।
ফোরজির এর প্রকল্পে কাজ করবে নোকিয়ার নর্থ আমেরিকান শাখা। চাঁদে নভোচারী পাঠানো হবে ২০২৪ সালে। তবে প্রকল্পটি ২০২৮ সাল পর্যন্ত চলমান থাকবে। অর্থাৎ এই চার বছর চাঁদে গবেষণার কাজে ফোরজি নেটওয়ার্ক ব্যবহৃত হবে।