এতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় দেশে সাড়ে ৩ লাখেরও বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রথম ডোজ নেন এক লাখ ৯৯ হাজার ২৫ জন ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন এক লাখ ৫১ হাজার ২৫২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত সারাদেশে মোট টিকাগ্রহীতার সংখ্যা ২ কোটি ৭২ লাখ ৩৫ হাজার ৫৪৮ জন। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ কোটি ৮৮ লাখ ৭৫ হাজার ৯১৭ এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮৩ লাখ ৫৯ হাজার ৬৩১ জন মানুষ। এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ১ কোটি ৮ লাখ ২৩ হাজার ২৪ এবং নারী ৮০ লাখ ৫২ হাজার ৮৯৩ জন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৫০ লাখ ৯৮ হাজার ৯৮১ এবং নারী ৩২ লাখ ৬০ হাজার ৬৫০ জন।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৭৩ হাজার ৩৪৯ জন। তাদের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ৩ কোটি ৮০ লাখ ৭৭ হাজার ১১৮ জন ও পাসপোর্টের মাধ্যমে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ২৩১ জন টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন।
করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে দেশে চলতি বছরের গত ২৭ জানুয়ারি টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদানের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। শুরুর দিকে শুধু অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া হলেও বর্তমানে সারাদেশে মডার্না, ফাইজার, সিনোফার্মসহ মোট চার ধরনের টিকা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, মহামারি করোনাভাইরাসে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর ) সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মারা গেছেন আরও ৮৮ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৩৬২ জনে।
এছাড়া দেশে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ৩ হাজার ৪৩৬ জনের দেহে। এ নিয়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ লাখ ৭ হাজার ১১৬ জনে। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৯০১ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮৮৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার ২৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ।