1. joyantagoswami7165@gmail.com : Joyanta Goswami : Joyanta Goswami
  2. faisalyounus1990@gmail.com : Developer :
  3. newspointsylhet@gmail.com : News Point : News Point
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন

নিউজ পয়েন্ট সিলেট

শনিবার, ৮ মে, ২০২১

শিশুকে বাঁচানোর জন্য দরকার ১৮ কোটি টাকা দামের ইঞ্জেকশন, কি এমন রোগ!


নিউজপয়েন্ট সিলেট আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের আহমেদাবাদের একটি শিশুকে বাঁচানোর জন্য দরকার ছিল একটা মাত্র ইঞ্জেকশন। ওই ইঞ্জেকশনের দাম ছিল ১৬ কোটি রুপি! একমাত্র ওই ওষুধটিই পারে ছোট্ট দুধের শিশুটিকে বাঁচাতে। না হলে যে বিরল অসুখে সে ভুগছে তা থেকে রেহাই নেই।

 

ঠিক কী অসুখ হয়েছিল আহমেদাবাদের ওই শিশুটির? ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের জানা গেছে, জন্ম থেকে সে স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি টাইপ-১ নামে একটি নিউরোমাসকুলার রোগে আক্রান্ত। অত্যন্ত বিরল জিনঘটিত এই অসুখ বিশ্বের প্রতি ১০ হাজার শিশুর মধ্যে ১ জনের হয়। ফলে শিশুটি তার শরীরের কোনো অঙ্গই নাড়াতে পারে না। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে মৃত্যু নিশ্চিত।

 

এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় ওই ইঞ্জেকশন। মাত্র ২ বছর আগে মার্কিন সংস্থা অ্যাভেক্সিসের তৈরি করা ওষুধটি ছাড়পত্র পায় যুক্তরাষ্ট্রে। পরে ব্রিটেনও এটি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। আসলে ধাইরয়ারাজসিং রাঠোরের মতো যারা ওই রোগে আক্রান্ত, তাদের শরীরে এসএমএন১ জিনটি থাকে না। ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে সেটিই তাদের শরীরে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়। আর তাতেই শরীরের সব পেশী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যায়।

 

কিন্তু সেই ওষুধের দাম ১৬ কোটি রুপি। স্বাভাবিকভাবেই চিকিৎসকদের কাছ থেকে খরচের কথা শুনে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন ৫ মাসের ধাইরয়ারাজসিং রাঠোরের বাবা-মা। মনে হয়েছিল এতো টাকার কয়েক শতাংশই যেখানে জোগাড় করা অসম্ভব, সেখানে তাঁদের সন্তানের রোগমুক্তির কোনো সম্ভাবনাই আর অবশিষ্ট থাকল না। শিশুটির বাবা রাজদীপ সিং রাঠোরের কথায়, ‘বুঝতে পারছিলাম আমাদের যা কিছু আছে সব কিছু বিক্রি করে দিয়ে ও সব সঞ্চয়কে কাজে লাগিয়েও ওই অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।’ কিন্তু এরপরই এগিয়ে আসে ‘ইমপ্যাক্ট গুরু’র মতো গণ-তহবিল সংগ্রহকারী সংস্থা। মাত্র ৪২ দিনে ২.৬ লক্ষ মানুষ নিজেদের সাধ্যমতো অনুদান দেন। আর তাতেই উঠে আসে ওই বিপুল অর্থ।

রাজদীপ জানিয়েছেন, যাঁরা অর্থ দিয়েছেন তাঁরা কেউ ধনকুবের নন। বেশির ভাগই সাধারণ মধ্যবিত্ত। কিন্তু তাঁদের সকলের চেষ্টাতেই সম্ভব হলো এই অসম্ভব। বিরল অসুখ থেকে মুক্তি পেল তাঁদের একমাত্র সন্তান।

আপনার মতামত দিন
এই বিভাগের আরও খবর

সিলেটের সর্বশেষ
© All rights reserved 2020 © newspointsylhet