মন্ত্রী পরিবহন ও মালিকদের এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, নিয়ম মেনে যাত্রী পরিবহন করতে হবে, তা না হলে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিআরটিএকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শোকের মাস আগস্টে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়া আলোচনা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, মসজিদ-মন্দির-গির্জা-প্যাগোডায় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
শনিবার (১৭ জুলাই) সকালে তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারিতে এবারের শোকের মাসের প্রধান কর্মসূচি হচ্ছে, খেটে খাওয়া, দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সেভাবেই সবাইকে কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আজীবন গণমানুষের রাজনীতি করেছেন, তাই শোকের এ মাসে সাহায্যসামগ্রী নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। গ্রামে গ্রামে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, অনেকে শহর থেকে ভাইরাস বহন করে গ্রামে নিয়ে যেতে পারেন এতে গ্রামের মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। এমতাবস্থায় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং ভিড় এড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
মন্ত্রী এ অবস্থায় সবাইকে শতভাগ মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে কোনোরূপ শৈথিল্য না দেখাতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
দেশের অধিকাংশ মহাসড়কে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করলেও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে টঙ্গী-গাজীপুর অংশে নির্মাণকাজের কারণে সংকুচিত হওয়ায় যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে বলে জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী।
উত্তরবঙ্গগামী পণ্যবাহী যানবাহনসমূহ আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল-চন্দ্রা হয়ে চলাচল করলে টঙ্গী-গাজীপুর অংশে যানবাহনের চাপ কমে যাবে বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, হালকা বর্ষণ ও মহাসড়কে ধীরগতির জন্য এবং কোরবানির পশুবাহী যানবাহনের কারণে কোথাও কোথাও চলাচলে ধীরগতি রয়েছে।
এমতাবস্থায় মন্ত্রী হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে দক্ষতার সঙ্গে পরিবহন ও মহাসড়ক ব্যবস্থাপনার আহ্বান জানান।