আপাতত ১৮ বছরের কমবয়সীদের কাউকে টিকা দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এরআগে গতকাল শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ১৮ বছরের নিচে শিক্ষার্থীদের জন্য ফাইজার এবং মডার্নার টিকা দেওয়া হতে পারে।
তিনি বলেন, ১৮ বছরের ওপরে যে কোনো টিকা দেওয়া যাবে। ১৮ বছরের নিচে হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্যান্য দেশের নির্দেশনা দেখে ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেওয়া হতে পারে।
শিশুদের টিকা কীভাবে দেওয়া হবে সে বিষয়ে আজ রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানিয়েছিলেন মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, ১২ বছরের বেশি হলে অন্যান্য দেশে যেভাবে দেওয়া হচ্ছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনে শিশুদের ফাইজার এবং মডার্নার টিকা দেওয়া হচ্ছে। আমরাও এটি অনুসরণ করতে পারি।
তিনি বলেন, ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় ডোজের টিকা মজুত আছে। যাদেরকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। প্রথম ডোজ যে কেন্দ্র দেওয়া হয়েছে, দ্বিতীয় ডোজও একই কেন্দ্রে নিতে হবে। গ্রামের টিকা নেওয়ার জন্য মানুষের আগ্রহ কম ছিল, আমরা তাদের অনুপ্রাণিত করতেই এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলাম।
মন্ত্রী বলেন, চীনের কাছে ছয় কোটি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে সাড়ে ১০ কোটি টিকা চাহিদা দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে এসব টিকা পাওয়া যাবে। এই টিকা পাওয়া গেলে সংকট কেটে যাবে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, করোনার প্রতিষেধক হিসেবে দেশে এখন পর্যন্ত টিকা গ্রহীতার সংখ্যা পৌনে তিন কোটি ছাড়িয়েছে। এদের মধ্যে প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৭ জন। আর দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ৮৫ লাখ ২৬ হাজার ৩০৯ জন।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস ও লাইন ডিরেক্টর এইচআইএস অ্যান্ড ই-হেলথ) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে টিকাগ্রহীতার সংখ্যা তিন লাখ ৭১ হাজার ৭৬৮ জন। এদের মধ্যে প্রথম ডোজের টিকা নেন এক লাখ ৮৭ হাজার ১৫০ জন (পুরুষ এক লাখ ৭ হাজার ৪৩৩ জন ও নারী ৯৭ হাজার ৬৫৬ জন)। এছাড়া দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন এক লাখ ৬৬ হাজার ৬৭৮ জন (পুরুষ ৯৫ হাজার ৭৬৭ জন ও নারী ৭০ হাজার ৯১১ জন)।
এদিকে, শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত টিকা নিবন্ধনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ৭৬ লাখ ১৫ হাজার ১৫৮ জন। এদের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তিন কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ১৮৯ জন ও পাসপোর্টের মাধ্যমে পাঁচ লাখ ১০ হাজার ৭০৯ জন নিবন্ধন করেন।