নিউজপয়েন্ট সিলেট ডেস্কঃ করোনার উর্ধ্বগতি ঠেকাতে ১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময় জরুরি সেবা ছাড়া, অফিস-আদালত-কলকারখানা সবকিছু বন্ধ থাকবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে তিনি টেলিফোনে আরো জানান, করোনা ঠেকাতে গত ২৯ মার্চ থেকেই মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। ৪ এপ্রিলের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমেও জনমত তৈরি, মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ নানা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে, যেভাবে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঘটছে, কঠোর লকডাউনের মাধ্যমেই এটি ঠেকাতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কঠোর এই লকডাউনের সময় জরুরি সেবা ছাড়া সকল অফিস-আদালত-কলকারখানা সবকিছু বন্ধ রাখতে হবে।
দোকানপাট খোলা রাখার ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের আন্দোলন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের জন্য মার্কেট খোলা রাখা হয়েছে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপরই এক সপ্তাহ কড়া লকডাউন প্রয়োজন। কড়া লকডাউন না হলে করোনার বিস্তার ও মৃত্যুর সংখ্যা ঠেকানো যাবে না।
সংক্রমিত মানুষের সংস্পর্শে এলে করোনা ছড়াবেই জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর ফলে এখন কঠোর লকডাউনের কোন বিকল্প নেই বলে জানান তিনি। কঠোর লকডাউনের মাধ্যমে করোনা সংক্রমন কমানো সম্ভব বলে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
এর আগে, দেশে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নেয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে আরও এক সপ্তাহের লকডাউনের কথা ভাবছে সরকার বলে জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার সকালে সরকারি বাসভবন থেকে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। বেড়েছে জনগণের অবহেলা ও উদাসীনতা।এমতাবস্থায় সরকার জনস্বার্থে ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের বিষয়ে সক্রিয় চিন্তাভাবনা করছে।
চলমান এক সপ্তাহের লকডাউনে জনগণের উদাসীন মানসিকতার কোনো পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হয় না বলেও জানান তিনি।
নিউজপয়েন্ট সিলেট