নিউজ পয়েন্ট সিলেট
শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২০
মো: আব্দুল মুকিত, বড়লেখা প্রতিনিধিঃ হাকালুকি হাওরের নাগুয়া-ধলিয়া জলমহাল নিয়ে বিপাকে ইজারা গ্রহীতা, এলাকাবাসীর দাবি উঠেছে নদী খননের।
হাকালুকি হাওরের কুলাউড়া অংশে নাগুয়া-ধলিয়া জলমহালটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের অব্যস্থাপনার কারণে কন্টিনালা নদী জলমহাগুলোর মুখে প্রবেশ হওয়ায় অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে পলিমাটি দিয়ে জলমহালগুলো ভরাট হয়ে গিয়েছে। একদিকে নাগুয়া-ধলিয়া জলমহালটি ভরাট হয়ে গিয়েছে, অন্যদিকে জলমহালের ছোট-বড় মাছ কন্টিনালা নদীতে চলে আসে এতে লীজ গ্রহীতা চরম বিপাকে এবং ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে কয়েক দফা লিখিত দরখাস্থ করলেও কোন প্রতিকার পাননি। ক্ষতি কাটিয়ে উঠার জন্য আগামী সনে স্বল্প রাজস্ব মূল্যে ইজারা পাওয়ার দাবি লীজ গ্রহীতার। নাগুয়া জলমহালের সম্মুখ থেকে কঠিনালা নদী, জুড়ী নদীর সাথে সংযোগ করলে একদিকে নদী, জলমহাল ভরাট বন্ধ হবে অন্যদিকে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব পাবে। দ্রুত নদী খননের দাবী এলাকাবাসীর।
জানা যায়, হাকালুকি মৎসজীবি সমবায় সমিতি লিঃ জুড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি মো: মির্জান আলী নাগুয়া-ধলিয়া জলমহালটি ১৪২২ বাংলা হইতে ১৪২৭ বাংলা সন পর্যন্ত লীজ পান। প্রতি বছরের জন্য ২৩ লক্ষ টাকা দিতে হয় সরকারকে রাজস্ব। নাগুয়া-ধলিয়া জলমহালটির লীজ গ্রহীতা চরম বিপাকে ও ক্ষতির সম্মুখীন। কারন কঠিনালা নদী জলমহালের মুখে প্রবেশ হওয়া অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে পলিমাটি প্রবেশ করে জলমহালটি প্রায় ভরাট হয়ে গেছে এমনকি জলমহালের সাথে নদী সংযুক্ত থাকায় জলমহালের ছোট-বড় মাছ নদীতে চলে আসে। এব্যাপারে লীজ গ্রহীতা মির্জান আলী মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দিয়েও তিনি কোনও প্রতিকার পাননি তিনি। ইজারা মূল্য যোগান দিতে জায়গা-জমি বিক্রি করতে হচ্ছে। ইজারা গ্রহীতার দাবী ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আগামী ইজারায় স্বল্প মূল্যে ইজারা পাওয়ার দাবী জানান।
সরজমিনে হাওরে গেলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাফর আলী, হাকালুকি মৎসজীবি সমবায় সমিতি লিঃ জুড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি মো: মির্জান আলী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামছুল ইসলাম, ইকবাল আহমদ, শাহিন আহমদ, শাহাব উদ্দিন, আব্দুল লতিফ, অহিদ মিয়া ফরমুজ আলী, শামসুল ইসলাম, সুবল চন্দ্র শীল জানান, কটিনালা নদীটি নাগুয়া জলমহালের সম্মুখ থেকে খননের মাধ্যমে ০৬ কিলোমিটার দূরবর্তী জুড়ী নদীর সাথে সংযুক্ত করলে সরকার যথারিতী রাজস্ব পাবে,নতুবা বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাবে। আমাদের জুড়ী অঞ্চলের শুষ্ক মৌসুমে গোলাপগঞ্জ-বড়লেখার সাথে যাতায়ত সুবিধা বৃদ্ধি পাবে, বর্তমানে নদী থেকে পলি মাটি প্রবেশ করায় নাগুয়া বিলটি প্রায় ভরাট হয়ে গেছে। কটিনালা নদী জুড়ী নদীর সাথে দ্রুত সংযুক্ত করার দাবী জানান।