সুরমা মার্কেট। নাম এবং গুনে সবাই চিনেন। দিন রাত উঠতি বয়সী যুবকের আনাগোনা লেগেই থাকে মার্কেটে। তবে এসব যুবকরা মার্কেটের দোকানে কাজে আসেন না। আসেন আবাসিক হোটেলে। বদরুল রেস্ট হাউসে পুলিশের অভিযানে অসামাজিক কাজে জড়িত থাকা বেশ কয়েকজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আবারো পুলিশের ‘চোখ’ পড়েছে এই সুরমা মার্কেটের বদরুল রেস্ট হাউসে। ফের অভিযানে ১১ নারী-পুরুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৮মে) সকাল  সাড়ে ৯টার দিকে কোতোয়ালী মডলে থানাধীন সুরমা মার্কেটের বদরুল রেস্ট হাউস থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

এসময় বদরুল হোটেলের ম্যানজোর সহ ৩ ও ৮ নারীসহ গ্রেফতার করা হয়।

এর আগেও গত সোমবার (২৪ মে) দুপুুর আড়াইটার দিকে সিলেট নগরীর সুরমা মার্কেটের বদরুল রেষ্ট হাউস থেকে ২ নারীসহ মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

তারা হলেন, মোগলাবাজারের সুরিগাও গ্রামের মাখন মিয়ার ছেলে শায়েখ আহম্মদ (১৮), মাতাহার আলীর ছেলে সাকিব আহম্মেদ (২০) ও খসরু মিয়ার ছেলে তানভীর আহমদ (১৮), সুনামগঞ্জের ভুতিয়ারাপুর গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া ( ২০) এবং ওসমানীনগরের সোয়ারগাওয়ের তৈয়ব আলীর ছেলে মারুফ আহমদ (২৪)। তবে আটক ২ নারীর বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র বিএম আশরাফ উল্ল্যা তাহের সিলেট প্রতিদিনকে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। উল্লখ্যে যে ইতিপূর্বে ও একাধিকবার বদরুল হোটলেে অভিযান চালিয়ে নারী ও পুরুষদরে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকায় তাদের গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শিগগিরই এসব হোটেল মালিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।