নিউজ পয়েন্ট সিলেট
মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২১
হল দখলকে কেন্দ্র করে ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী সুমন চন্দ্র দাস মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় নিহতের মায়ের দায়েরকৃত হত্যা মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক-বর্তমান ও সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের ২৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট জমা দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সিআইডি সিলেট জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শামীম উর রশীদ পীর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন, শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সঞ্জিবন চক্রবর্তী পার্থ, সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজ, সহ-সভাপতি সৈয়দ জুয়েম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ মিয়াজী, সহসম্পাদক মোশাররফ হোসেন রাজু, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন, ছাত্রলীগ কর্মী সজল চন্দ্র ভৌমিক, আব্দুল কুদ্দুস নোমান, সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম বুলবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ, সহ-সভাপতি নূরে আলম, আইন সম্পাদক জহির হোসাইন, সহ-সভাপতি এসকে হাসিবুর রহমান, ছাত্রলীগ কর্মী জুনায়েদ আহমদ, হাবিবুর রহমান হাবিব. সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হোসেন নাঈম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, ছাত্রলীগ কর্মী জেসমুল হাসান, ক্রীড়া সম্পাদক জাকির খান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আশিকুজ্জামান রূপক, ছাত্রলীগ কর্মী নয়ন চৌধুরী, সহসম্পাদক সুকান্ত ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌকির আহমেদ তালুকদার, বহিরাগত সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস অনিক, ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ারুল হক আলম, রানা আহমদ শিপলু ও এমদাদুল হক (খোকন)।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২২ নভেম্বর সিলেটের জালালাবাদ থানায় সুমনের মায়ের দায়েরকৃত মামলার চার্জশীটটি গত বছরের ৩০ নভেম্বর সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করা হয়।