এ অবস্থায় ফুলবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান নিজেও কথা বলেন স্বজনদের সঙ্গে। এরপরও মরদেহ নিতে রাজি করাতে পারেননি তিনি।
শেষ পর্যন্ত মেহেদী হাসান ছাত্রলীগের সদস্যদের নিয়ে স্থানীয় মানুষদের সহযোগিতায় বৃদ্ধার লাশ শনিবার (১৭ জুলাই) রাত ১১টার দিকে ফুলবাড়ী কবরস্থানে দাফন করেন।
এর আগে, রাত ১০টার দিকে উপজেলা হাসপাতাল চত্বরে অবস্থিত মসজিদের সামনে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় অন্তর্ভুক্ত বিলুপ্ত ছিটমহল দাশিয়ারছড়ার সমন্বয় পাড়া এলাকার মৃত বানু মামুদের কন্যা ফাতেমা বেওয়া (৫২)। তার বিয়ে হয়েছিল পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট জেলায় বড়বাড়ী এলাকায়। এক বছর আগে স্বামী আজাহার আলী মারা যান।
এদিকে, তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলে তারা গার্মেন্টসে কাজ করায় ঢাকায় চলে যান। বাধ্য হয়ে ফাতেমা বেওয়া ভাইদের বাড়িতে চলে আসেন। তার তিন ভাইয়ের মধ্যে ইনসান আলী ভ্যানচালক, দানেশ আলী হোটেল শ্রমিক ও ইউনুছ আলী দিনমজুর। এ অবস্থায় ফাতেমা বেওয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ফুলবাড়ী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর থেকে কেউ তার খোঁজখবর নেয়নি। শনিবার বিকেলে হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়।
এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সারওয়ার পারভেজ জানান, অনেক চেষ্টা করেও ফাতেমা বেওয়ার লাশ নেওয়ার ওয়ারিশ কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ অবস্থায় স্থানীয় মানুষদের সহযোগিতায় ছাত্রলীগের সদস্যরা তার লাশ দাফন করেছেন। এ ব্যাপারে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। সূত্রঃ সময়