
নিউজ পয়েন্ট সিলেট
রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০
নিউজ পয়েন্ট ডেস্কঃ প্রবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল সিলেট। সিলেটের প্রবাসীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন সারা বিশ্বে। বিশেষ করে ব্রিটেন,আমেরিকা, কানাডা ইতালি, ফ্রান্স, স্পেনসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সউদী আরব, দুবাই, উমান আর বাহরাইনে রয়েছেন হাজার হাজার সিলেটি। সিলেটের মানুষ অনেকটাই প্রবাসীদের উপর নির্ভরশীল। সারা বিশ্বেই করোনাভাইরাসের ২য় ঢেউ নিয়ে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। ফলে প্রবাসীরা চরম দুশ্চিন্তায় সময় পার করছেন। সিলেটেও বাড়ছে স্বজনদের আহাজারি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশে থাকা স্বজনরা চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। প্রিয়জনরা যেন ভাল থাকেন সেই প্রার্থনায় সময় কাটছে তাদের। ব্রিটেনে করোনাভাইরাসে ২য় ওয়েবে অবস্থা খুবই নাজুক। প্রায় প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন ৪০ হাজারের মতো মানুষ। এ পর্যন্ত শুধু ব্রিটেনে প্রায় ৪ শতাধিক বাংলাদেশীর প্রাণ গেছে করোনায়।
করোনার ২য় ঢেউ শুরুর পর লন্ডনে অধিকাংশ প্রবাসীদের পরিবার দিন কাটাচ্ছেন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়। ব্রিটেনে বসবাসরত প্রায় ১০ লাখ প্রবাসী ও তাদের পরিবারে হতাশা বাড়ছেই। মুহুর্তেই বিভিন্ন আপডেট পেয়ে দেশে অবস্থানরত স্বজনরা রয়েছেন উদ্বেগ উৎকণ্ঠায়।
এদিকে দেশটির বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন বৃটেন নিজের অজান্তেই বড় ধরণের মানব বিপর্যয়ের দিকে ছুটে যাচ্ছে । তারা অবিলম্বে পুরো বৃটেনজুড়ে টিয়ার ৪ লকডাউন জারির পরামর্শ দিয়েছেন। প্রফেসর রবার্ট ওয়েস্ট সাবধান করে বলেন, করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়ায় বড়দিন পরবর্তী সময়ে বৃটেনের মানুষ বিপর্যয়ের হুমকিতে রয়েছে। এ খবর দিয়েছে বৃটিশ গণমাধ্যম মিরর।
বৃটেনের প্রধান বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টা স্যার প্যাট্রিক ভ্যাল্যান্সও হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, বৃটেনের সর্বত্রই নতুন এই স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়েছে। প্রফেসর ওয়েস্টও এখন তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে অতুন এই স্ট্রেইন থামাতে কঠিন লকডাউনের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, যদি সরকার পূর্ব এশিয়ার মতো কন্টাক্ট ট্রাকিং সিস্টেম চালু করতে না পারে তাহলে বৃটেনকে অর্থনীতি এবং সামাজিক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে। গার্ডিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, আমাদের উচিত আমাদের কৌশল পুনরায় নির্ধারণ করা এবং নতুন স্ট্রেইনের সংক্রমণ শূন্যে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা। একে হয়ত অনেক ব্যায়বহুল লাগছে তবে অন্য কোনো বিকল্পের ওপর আর ভরসা করা যায়না।
আরেক বিশেষজ্ঞ প্রফেসর অ্যান্ড্রু হায়ওয়ার্ডও দেশজুড়ে লকডাউন দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। তিনি বলেন, যদিও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন স্ট্রেইনের সংক্রমণের মাত্রা ভিন্ন তারপরেও তারা আসলে সব জায়গাতেই রয়েছে। প্রফেসর জন এডমান্ডস বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্যি যে সমগ্র বৃটেনজুড়েই করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়েছে এবং আমি মনে করি, আমাদের এখন কঠিন লকডাউন আরোপ করা জরুরি।
এদিকে, ভ্যাকসিন তৈরি কোম্পানি বায়োএনটেকের প্রধান উগুর সাহিন জানিয়েছেন, এখনো তারা নিশ্চিত নন যে তাদের ভ্যাকসিন নতুন স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে কার্যকরি হবে কিনা। তবে যেহেতু উভয় ধরণের প্রোটিনের মধ্যে ৯৯ শতাংশ মিল রয়েছে। তাই তারা ভ্যাকসিন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। এখন পর্যন্ত বৃটেনের ৫ লাখ মানুষ বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন।