
নিউজ পয়েন্ট সিলেট
বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই, ২০২১
লকডাউন শিথিলের নির্দেশ, সিলেটে এ যেন এক মিলন মেলা পালনের নির্দেশ! মানুষের ভিড়ে বলতে গেলে পা ফেলার জায়গা মিলছে না।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর কিনব্রিজ, শাহজালাল ব্রিজ, শাহাজালাল উপশহর, লামাবাজার, আম্বরখানা, বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, মদিনা মার্কেট, শিবগঞ্জ, টিলাগড়, দক্ষিণ সুরমার মুক্তিযোদ্ধা চত্বর, হুমায়ুন রশীদ চত্বর এলাকায় দীর্ঘ যানজট ও মানুষের ভিড় দেখা যায়। দক্ষিণ সুরমায় সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালেও যাত্রীদের চাপ ছিলো প্রচণ্ড।
টানা ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের পর শিথিলের প্রথম দিন সিলেট নগরীতে যেন পা ফেলার জো নেই। বৃহস্পতিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় ও যানজটে সিলেটে নাকাল অবস্থা।
সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মানুষের তেমন যাতায়াত দেখা না গেলেও দুপুর ১২টার দিক থেকে নগরীতে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। এতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মানুষের চাপ বেড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। বেশিরভাগ মানুষই মানছে না স্বাস্থ্যবিধি।
বন্দরবাজারে কথা হয় সাকিব নামের এক তরুণের সঙ্গে। তিনি বলেন, টানা লকডাউনের কারণে এতদিন খুব একটা বের হইনি। আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে লকডাউন শিথিল হয়েছে। সামনে কোরবানির ঈদ। এ জন্য একসঙ্গে ঈদ ও ঘরের বাজার করতে বেরিয়েছি।
নগরীর জিন্দাবাজার ও বন্দরবাজারে যেন মানুষের পা ফেলার জায়গা নেই। রাস্তা, মার্কেট, শপিং ও দোকানপাটে নারী-পুরুষের উপচেপড়া ভিড়।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সিলেটে চলাচল শুরু করেছে দূরপাল্লার গণপরিবহন। সকালে সিলেট থেকে চট্টগ্রাম ও ঢাকার উদ্দেশে দুটি ট্রেন ছেড়ে গেছে। তবে যাত্রী পরিবহন অর্ধেক নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. খলিলুর রহমান।
অপরদিকে, সকালে যাত্রীদের তেমন চাপ দেখা না গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী বেড়েছে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে। টার্মিনালে সিলেট থেকে হবিগঞ্জে যাত্রী পরিবহন করা বাসচালকের সহকারী হেলাল উদ্দিন বলেন, সকালে যাত্রীদের তেমন উপস্থিতি ছিল না। তবে দুপুর ১২টার পর থেকে যাত্রীদের উপস্থিতি বেড়েছে। অর্ধেক যাত্রী নিয়ে সরকারনির্ধারিত বর্ধিত ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হচ্ছে।