
নিউজ পয়েন্ট সিলেট
বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২
চিফ রিপোর্টার, সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম হাসান :: মৌলভীবাজার উপজেলার মেদেনী মহল গ্রামে নববধুর ঠাঁই হলো না স্বামীর বাড়ি। দীর্ঘ দিনের প্রেম করে বাসর করার স্বপ্ন যৌতুকের দাবীতে ভেঙ্গে গেল মুহূর্তেই। বাসর রাতেই দুজনের বিচ্ছেদ হয়ে গেল। সকল স্বপ্ন আল্লাদ বিলীন হয়ে নববধুর ঠাঁই হলো বাপের বাড়ি। এব্যাপারে স্বামী স্ত্রী উভয়ে পাল্টা পাল্টি অভিযোগ করেছেন রাজনগর থানায়। অভিযোগে জানযায়, উপজেলার ৩নং মুন্সিবাজার ইউনিয়নের মেদেনীমহল গ্রামের রেখাত আলীর ছেলে বাহরাইন প্রবাসী ছমির হোসেন(৩৭) সাথে বিয়ে হয় সৌদী আরব প্রবাসী সুমা আক্তার(২২) এর সাথে। গত ৬ নভেম্বর সিলেট মদিনা মার্কেটের চিলি রেস্টুরেন্টে বিয়ের অনুষ্টান সম্পন্ন হয়। সুমা আক্তার সিলেট জেলার জালালাবাদ থানার কালীবাড়, মদিনা মর্কেটের বাসিন্ধা। বিবাহের রাত্রে সাড়ে নয়টায় ছমির হোসেন বাসর ঘরে প্রবেশ করে যৌতুকের টাকা দাবী করে। সুমা আক্তার টাকা পরে এনে দেওয়ার কথা বললে ছমির হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে তার পিতার দেওয়া ৮ ভরি স্বর্ণ আলংন্কার খোলে নেয়। এসময় ছমির আলীর পিতা রেখাত আলী, তার পরিবারের লোক মনির হোসেন, আবীর মিয়া,এংরেজ আলী, মা কছিরুন বিবি তাকে যৌতুকের জন্য মারধোর করেন। পরদিন স্থানীয় মেম্বার আসাদুর রহমান আজিজ বিচারে দেখে দেবেন বলে তাকে তার সাথে আসা লোকজন সহ সিলেট পাঠিয়ে দেন। ছমির আলীর ভাই মনির মিয়া বলেন, তার ভাই বাহরাইন দেশে থাকাকালীন সুমা আক্তারের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুত্র ধরে দেশে এসে বিয়ে হয়। বিয়ের দিন বাসর রাত্রে সুমা আক্তার তার ভায়ের সাথে অশালীন ব্যবহার করে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া ঝাটি হয়। এরপর থেকে সুমা আক্তার খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিলে পর দিন আজিজ মেম্বার তার বাড়ির লোকজন দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। স্থানীয় আজিজ মেম্বার বলেন, বাসর রাত্র স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝগড়ার খবর পেয়ে পরদিন এসে তাকে তার পিতার বাড়ির লোক জনের নিকট বুঝিয়ে দেই। বাসর রাত্রে স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদের ঘটনা নিয়ে এলাকায় চলছে আলোচনা সমালোচনা। বিষয়টি রহস্য জনক বলে আনেকে মন্তব্য করেছেন।