নিউজ পয়েন্ট সিলেট
শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০২১
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়্যাল রিসোর্টে গত শনিবার হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক নারীসহ অবরুদ্ধ হওয়ার পর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ও যুবলীগ, ছাত্রলীগ দুই নেতার বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের করার ঘটনায় আজ শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সোনারগাঁ থানায় আরো তিনটি মামলা হয়েছে।
একটি মামলায় মামুনুল হককে প্রধান আসামি করা হয়েছে। সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করার ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক নাসির উদ্দীন বাদী হয়ে স্থানীয় হেফাজতে ইসলাম ও বিএনপির নেতাকর্মীসহ ১১১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে এবং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে হেফাজতে ইসলাম ও বিএনপির ১১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এছাড়া অপর মামলাটি দায়ের করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহাগ রনির বাবা শাহ জামাল তোতা। এ মামলায় বিএনপি ও হেফাজতে ইসলামের ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আজ শুক্রবার জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হেফাজতে ইসলামের কর্মী খালেদ সাইফুল্লাহ (৩৪), কাজী সমির (৩২), অহিদুল ইসলাম (৩৬), আব্দুল আউয়াল (৩৯) কে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের শান্তিনগর দারুণ নাজাত নুরানি মাদরাসায় সরকারবিরোধী গোপন বৈঠক করার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ৭ জন হেফাজতে ইসলামের কর্মীকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আগামী রবিবার রিমান্ডের ওপর শুনানি হবে।