নিউজপয়েন্ট সিলেট ডেস্কঃ বিয়ের সব আয়োজনই সম্পূর্ণ। শুধু মালা বদল বাকি। কিন্তু তার আগে হবু স্বামীকে শেষবারের মতো যাচাই করে নিতে চেয়েছিলেন পাত্রী। সবার সামনেই বললেন ২ এর নামতা পড়ে শোনাতে। কিন্তু সেখানেই আটকে গেলেন পাত্র। পারলেন না নামতা বলতে। আর তাতেই ক্ষেপে গিয়ে বিয়ের আসর ছেড়ে চলে গেলেন পাত্রী। বললেন, অঙ্কের প্রাথমিক জ্ঞান নেই-এমন ছেলের সঙ্গে ঘর করতে পারবেন না তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মাহোবা এলাকায়।
জানা গেছে শনিবার (১ মে) বরযাত্রী সঙ্গে নিয়ে রাজকীয় বেশে বিয়ে করতে এসেছিলেন পাত্র। সবই ঠিক চলছিল, কিন্তু মালাবদলের আগে হঠাৎই দুয়ের ঘরের নামতা জিজ্ঞাসা করে বসেন পাত্রী। তাতেই ঘটল যত বিপত্তি।
এ প্রসঙ্গে পাত্রীপক্ষের অভিযোগ পাত্রের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছিল। তাই তারা পাত্রপক্ষের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে।
পাত্রীর বোন জানিয়েছেন, আমার দিদি যথেষ্ট সাহসী, তাই বিয়ের মণ্ডপ থেকেই জানিয়ে দিতে পেরেছে, ও বিয়ে করবে না।
তবে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ঘটনা বেশি দূর গড়ায়নি। গ্রামের কর্তাব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় ঠিক হয়েছে, বিয়ে হবে না। দুপক্ষই একে ওপরকে সমস্ত উপহার, যৌতুক, গয়নাগাটি ফেরত দিয়ে দিয়েছেন। সামাজিক চোখরাঙানিকে উপেক্ষা করে গ্রামের পাত্রীটি যে ভাবে শিক্ষাগত যোগ্যতা বিচার করে নিজের জীবনসঙ্গী বেছে নিতে চেয়েছেন, তাতে বাহবা দিচ্ছেন অনেকেই।
সূত্র: আনন্দবাজার
নিউজপয়েন্ট সিলেট/শর্মাজী.