1. joyantagoswami7165@gmail.com : Joyanta Goswami : Joyanta Goswami
  2. faisalyounus1990@gmail.com : Developer :
  3. newspointsylhet@gmail.com : News Point : News Point
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন

মোঃ আব্দুল মুকিত

বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০

বিশ্বে মহামূল্যবান সিলেটের সুজানগরের ‘আগর আতর’


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আগর গাছ থেকে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে তৈরি হয় মহামূল্যমান আতর। এটি সুগন্ধি জাতীয় তরল পদার্থ। কিন্তু এর চেয়েও মূল্যবান ‘আগর উড’ বা আগর কাঠ। স্থানীয় সিলেটী ভাষায় এটাকে ‘মাল’ বলা হয়।

এ কাঠ সরাসরি আগুনের সংস্পর্শে জ্বলে ওঠে এবং ধোঁয়া ছাড়াই চারদিকে সুগন্ধ ছড়ায়। মধ্যপ্রাচ্য সহ বিশ্বের অনেক দেশে সুজানগরের এই আগর রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে।

সম্প্রতি মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের গিয়ে দেখা যায়,এখানকার প্রায় বাড়িতে রয়েছে আগর ফ্যাক্টরী,এতে এলাকার অনেক বেকার যুবক কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে।

আগর ফ্যাক্টরীর মালিক তারেক আহমদ আগর কাঠ সংগ্রহের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলেন, আগর গাছের ওপরের সাদা আবরণ সরিয়ে ভেতরের কালো কাঠ সংগ্রহ করা হয়। গাছ কাটার পর সাদা কাঠ ও কালো কাঠ প্রাথমিকভাবে আলাদা করা হয়। পরে কালো কাঠে লেগে থাকা সাদা কাঠ ফেলে দেওয়া হয়। বাটালি দিয়ে ধীরে ধীরে কাজটি করতে হয়। এরপর আর কোনো কাজ নেই। অর্থাৎ প্রাকৃতিকভাবেই হোক আর গাছে পেরেক মেরেই হোক, আগর গাছের কালো হয়ে যাওয়া অংশ থেকেই কেবল সুগন্ধি পাওয়া যায়। এই কালো অংশ থেকেই তৈরি হয় দামি আতর।

আগর কাঠের ব্যবহার সম্পর্কে তিনি বলেন, এই কাঠ আমাদের দেশে বিক্রি হয় না। এজেন্সির মাধ্যমে আরব দেশসহ উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একটি বাটিতে আগর কাঠ রেখে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। তখন চারিদিক সুগন্ধি ভরে যায়। সাধারণ কাঠের মতো এ কাঠ থেকে ধোঁয়া বের হয় না। কয়েলের মতো সুগন্ধ ছড়িয়ে অনেকক্ষণ ধরে জ্বলতে থাকে।
‘আগর উড’ বিক্রি এবং দর-দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা কেজি হিসেবে আগর উড বিক্রি করে থাকি। আমাদের এখানে বড় ডিলার আছে। আমরা যারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, আগর গাছ কিনে অনেক কষ্ট করে গাছের কালো কাঠ অংশ আলাদা করি।
তিনি জানান, প্রাকৃতিক আগর হলে দাম বেশি পাওয়া যায়। গাছে পেরেক মেরে তৈরি আগরের দাম একটু কম। এক কেজি আগর কাঠ সর্বনিম্ন দুই হাজার থেকে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এটা পুরোপুরিভাবে নির্ভর করে আগর গাছের ভেতরের মাল (কালো কস) কেমন, সেটার ওপর।
সাধারণত দুই হাত একসঙ্গে করতে পারলে এটাকে এক বেড় (প্রস্ত) বলে।

এক বেড় থেকে পাঁচ বেড় বা সাত বেড় পর্যন্ত হয় আগর গাছ। উচ্চতায় পাঁচ ফুট থেকে ২০-২৫ ফুট পর্যন্ত থাকে। এক বেড় এবং ১০ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতার গাছ সর্বনিম্ন দুই হাজার টাকায় বিক্রি হয়। আসলে গাছ থেকে আইডিয়া করতে হয় এর ভেতরে কেমন ‘মাল’ (কালো কস) হবে। কোনো কোনো গাছ তুলনামূলক ছোট হলেও ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
সরকারি ভাবে আগর-আতর কে শিল্প হিসাবে ঘোষনা করলে অত্র অঞ্চলের আগর-আতর রফতানি তথা বিনিয়োগ আরোও বৃদ্ধি পাবে এবং আগর শিল্পের বিকাশে প্রয়োজন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।

আপনার মতামত দিন
এই বিভাগের আরও খবর

সিলেটের সর্বশেষ
© All rights reserved 2020 © newspointsylhet