এছাড়া মানুষ ভুগছে নানা রকম রোগে। ফসল উৎপাদন কমে দেখা দিচ্ছে অপুষ্টি। উন্নত দেশগুলো এখনই এগিয়ে না এলে হুমকির মুখে পড়বে মানুষসহ জীববৈচিত্র্যের অস্তিত্ব।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসিস বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারির শেষ আছে, কিন্তু জলবায়ু সংকটের কোনো শেষ নেই বা টিকা নেই।
কোভিড মহামারি মোকাবিলায় সারাবিশ্ব যখন ব্যস্ত তখন জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান ভয়াবহতা আরো তীব্র হচ্ছে। জলবায়ু পরিস্থিতির অবনমন মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি প্রাণ-প্রকৃতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। প্রাক-শিল্প যুগের পর বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়েছে এক দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সারাবিশ্বের ২২০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সাময়িকী সোমবার জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে। এতেই উঠে এসেছে ভয়াবহ সব তথ্য।
আগামী নভেম্বরে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কপ-টোয়েন্টি সিক্স সম্মেলনকে সামনে রেখে এটি প্রকাশিত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে অধিক স্বাস্থ্যঝুঁকির প্রসঙ্গ উঠে আসে সম্পাদকীয়তে। এতে বলা হয়, তাপমাত্রাজনিত কারণে গত ২০ বছরে ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক মানুষের মৃত্যু ৫০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে কিডনি সম্পর্কিত জটিলতা, চর্মরোগজনিত সমস্যা, বিরূপ মানসিক সমস্যা, গর্ভকালীন জটিলতা, অ্যালার্জি, হৃদরোগ সম্পর্কিত সমস্যা, ফুসফুসের সমস্যাসহ অন্যান্য অসুবিধার তৈরি হচ্ছে। কৃষি উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি অপুষ্টি-পুষ্টিহীনতা বাড়ছে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় অর্থায়নসহ অন্যান্য বিষয়ে যেমনভাবে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সেরকম ভাবে জলবায়ু পরিস্থিতি মোকাবিলায়ও বিশ্বের সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয় ওই সম্পাদকীয়তে। এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয় ধনী দেশগুলোকে।