বুধবার (১১ নভেম্বর) সকালে বিপ টেস্ট দিতে ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আসেন সাকিব। এ সময় ফুরফুরে মেজাজেই দেখা গেছে তাকে।
দীর্ঘদিন ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও বিপ টেস্টেই প্রমাণ দিলেন, কেন তিনি বিশ্বসেরাদের কাতারে। এক বছরেরও বেশি সময় পর ফিটনেস টেস্ট দিয়ে যে স্কোর তুললেন, তাতে আশেপাশে সবার চোখ কপালে ওঠাও অস্বাভাবিক।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের জন্য বিপ টেস্টে বেঞ্চমার্ক হিসেবে ১১ নম্বর বেঁধে দিয়েছিল বিসিবি। সাকিবের স্কোর ছিল ১৩.৭, যা গত দুই দিন বিপ টেস্ট দেওয়া যেকোনো ক্রিকেটারের চেয়ে বেশি। গত দুই দিন বিপ টেস্টে ১২ স্কোরই দেখা গেছে হাতেগোনা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩.৬ পেয়েছিলেন কুমিল্লার পেসার মেহেদী হাসান।
দীর্ঘদিন পর মাঠে ফেরা সাকিবের ফিটনেসের অবস্থা জানতে উন্মুখ ছিলেন সবাই। বিশ্বকাপে অতিমানবীয় পারফরম্যান্সের পর হুট করেই আড়ালে চলে যেতে হয় নিষেধাজ্ঞার কারণে। নিষেধাজ্ঞার সময়টায় অবশ্য লিকলিকে গড়নের সাকিবকে দেখা গেছে।
সেপ্টেম্বরে বিকেএসপিতে ব্যক্তিগত অনুশীলনের পর যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে ফিরে গেলে ওজন খানিকটা বেড়ে যায়। তবে ফিটনেসের দিক থেকেও তিনি যে সেরা, তা আবারো প্রমাণ করলেন।
মূলত ব্যাট, বল বা প্যাড নিয়ে ক্রিকেটারদের দম বিচার করাই বিপ টেস্টের কাজ। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জানা যায় কি পরিমাণ অক্সিজেন একজন ক্রিকেটার নিতে পারছেন। ২০ মিটারের শাটল রানিংয়ের মাধ্যমে নির্ণয় করা হয় একেকজন ক্রিকেটারের ‘বিপ টেস্টের’ ফলাফল