
নিউজ পয়েন্ট সিলেট
শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২০
বিশেষ প্রতিনিধিঃ মহান বিজয়ের ৪৯ বছর পরও তালিকাভুক্ত হয়নি বিশ্বনাথের শহীদ দীগেন্দ্র দাসের নাম। আজকের উদযাপিত মহান বিজয় দিবস এমনি এমনি অর্জিত হয় নি। এর জন্য বলি দিতে হয়েছে ত্রিশ লাখাধিক তাজা প্রাণ। বিলিয়ে দিতে হয়েছিল দু লাখাধিক মা বোনের সম্ভ্রম। যাদের রক্তে এ দেশ আজ স্বাধীন, মুক্তির চেতনা উর্বর তারাই এ দেশের প্রকৃত মালিক, সর্ব শ্রদ্ধেয়। অথচ নিকৃষ্ট রাজনীতির যাতাকলে অনেক বীর শহিদ মুক্তিযোদ্ধা আজও তালিকাচূত্য, অবহেলিত, কিংবা স্বীকৃতি বঞ্চিত। এ জাতীর চরম লজ্জার, চরম বিড়ম্বনার। তেমনি এক তালিকাচ্যূত বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বিশ্বনাথের দীগেন্দ্র কুমার দাস। ‘৭১ পরবর্তী
শেখ মুজিবুর রহমান স্বয়ং সহানুভূতিপত্র প্রেরণ করে এ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাকে স্বীকৃতি ও তাঁর পরিবারকে সহায়তা প্রদান করলে ও ১৯৯৬ পরবর্তী নির্বাচন হতে কোন খোজ নেওয়া হয় নি। চেতনার তাগিদে শহিদ ভ্রাতুষ্পুত্র বিজন চন্দ্র দাস বিজয় গঠন করেন শহীদ দীগেন্দ্র কুমার দাস স্মৃতি পরিষদ। নানা রাষ্ট্রীয় দিবসে নিজ উদ্যোগে পালন করেন নানা কর্মসূচী। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায় মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাকি শহীদ দীগেন্দ্র কুমার দাসের নাম নেই। রাজনৈতিক এহেন ঘৃন্য অপকর্মে কে বা কারা তালিকাচ্যূত করে তাঁকে। অথচ বিশ্বনাথের আপামর জনতা আজও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তাঁকে। শহীদ দীগেন্দ্র কুমার দাস স্মৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি বিজন চন্দ্র দাস বিজয় বলেন, আমরা ভাতা কিংবা সম্মানী আশা করি না।কেবল এই চাই যে যার রক্তে এ স্বাধীনতা সে মহান ব্যক্তি শহীদ দীগেন্দ্র কুমার দাসের নামটা অন্তত তালিকাভুক্ত করে, তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে একটা স্মৃতি ফলক স্থাপন করা হোক। এ দাবী এখন কেবল তার একার নয়, এ দাবী বিশ্বনাথের সকল স্বাধীনতার চেতনাবাহী আপামর জনতার গণদাবীতে পরিণত হয়েছে। তাই তিনি অতিদ্রূত শহীদ দীগেন্দ্র কুমার দাসের নাম তালিকাভুক্ত করার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।