
নিউজ পয়েন্ট সিলেট
শনিবার, ২০ মার্চ, ২০২১
ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পণ্য বিক্রেতাদের জন্য ট্রেড লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে সরকার। ফেসবুক ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে ব্যবসা পরিচালনাকারী পাঁচ লাখের বেশি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাকে করদাতার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া যাদের ওয়েবসাইট আছে বা ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে পণ্য বিক্রিতে লিপ্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর ট্রেড লাইসেন্সের পাশাপাশি মূল্য সংযোজন করের (মূসক) রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
আগামী মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এসব নিয়ম সংবলিত ‘ডিজিটাল কমার্স অপারেশন গাইডলাইনস ২০২১’ প্রকাশ করতে যাচ্ছে। ফেসবুকভিত্তিক ই-কমার্সগুলোকে ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে দুইশ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয়ের দিকটি ভাবছে সরকার। এসব লাইসেন্স প্রতি বছর হালনাগাদেও আসবে রাজস্ব। ফেসবুকভিত্তিক উদ্যোক্তাদের ট্রেড লাইসেন্স নিতে আইটি বা সফটওয়্যার ক্যাটাগরিতে ১১০০ থেকে ১৫০০ টাকা লাইসেন্স ফি দিতে হবে। এ ছাড়া ভ্যাট, সাইনবোর্ড কর ও পরিদর্শন কর মিলে গুনতে হবে আরও চার হাজার টাকা।
তবে এখনই এমন সিদ্ধান্তের বিরোধী ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে ই-কমার্স খাতটি কেবল দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। সদ্য ভূমিষ্ঠ উদীয়মান এই খাতটির ওপর এখনই কড়াকড়ি আরোপ করলে এর উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, অনেকেই বাসা থেকে ক্ষুদ্র পরিসরে পণ্য বেচাকেনা করেন। ট্রেড লাইসেন্স পাওয়ার ঝক্কির কথা ভেবে হয়তো ব্যবসাই বন্ধ করে দেবেন। ফলে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে বাধা হিসেবে দেখা দিতে পারে এই আইন।
তবে তিনি মূসক রেজিস্ট্রেশনের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, মোবাইলে সেবাদানকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাকাউন্ট মনিটর করে তা করা যেতে পারে। এতে অবৈধ কোনো পণ্য বিক্রি হচ্ছে কিনা তা-ও বোঝা যাবে।
অন্যদিকে কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ক্যাশ-অন-ডেলিভারিসহ অন্যান্য লেনদেনের আপডেট রেখে একক ব্যাংক একাউন্ট পরিচালনার শর্ত দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাধ্যতামূলক একক একাউন্টে লেনদেন করা হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলে প্রয়োজনে যেকোনো সময় তথ্য পাবে। সঠিকভাবে মূসকসহ পণ্য বেচাকেনা হচ্ছে কিনা তার দেখভাল করা যাবে সহজেই। এবং কোনো ব্যত্যয় পেলে বাংলাদেশ ব্যাংক সেটি বন্ধ করে দেওয়ারও এখতিয়ার রাখবে।
এ ছাড়া কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ফি দিতে হবে ৫০ হাজার থেকে ৫০ লাখ টাকা। পাশাপাশি সিকিউরিটি হিসেবে দেখাতে হবে তিন লাখ থেকে আড়াই কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি। এই খাত থেকেও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আশা করছে সরকার।