এ ঘটনার পর হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেছে স্থানীয়রা। বিক্ষোভের মধ্যে সেখানেই নিহত কিশোরের শেষকৃত্য করা হয়। শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাতে বিহারের মুজফ্ফরপুরের কান্তি থানা এলাকার রেপুরা রামপুরশাহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সৌরভ কুমার নামের ওই কিশোর সোরবারা এলাকায় প্রেমিকার বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছিল। এ সময় তাকে সেখানে দেখে বেধড়ক মারধর করেন মেয়েটির বাড়ির লোকেরা।
গুরুতর আহত অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত্যু হয় সৌরভের। এ ঘটনার পরেই কান্তি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মুজফ্ফরপুরের পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার বলেন, প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হচ্ছে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় ওই কিশোরকে খুন করা হয়েছে। তাকে বেধড়ক মারধর করা হয় ও তার যৌনাঙ্গ কেটে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সুশান্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া সুশান্তের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিকে পাকিস্তানের লাহোরে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে প্রতিবেশী এক ব্যক্তি দলবল নিয়ে মুহম্মদ আক্রম নামের এক যুবকের ওপর চড়াও হয়ে ছুরিকাঘাত করে। একপর্যায়ে তার নাক ও কান কেটে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন মুহম্মদ আক্রম। সেই সময় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে তার উপর চড়াও হন পাড়ারই বাসিন্দা আবদুল কায়ুম। প্রথমে তাদের মধ্যে বচসা বাধে। কেন তার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন, তা নিয়ে আক্রমকে হেনস্তা করতে শুরু করেন তারা।
একপর্যায়ে আক্রমকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ধস্তাধস্তি শুরু হলে, সকলে মিলে আক্রমকে চেপে ধরেন এবং কায়ুম ছুরি দিয়ে তার নাক ও কান কেটে নেন। পরে গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মুলতানের নিশতর হাসপাতালে ভর্তি করে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় অভিযুক্ত কায়ুমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অপরাধ স্বীকার করেছেন। তার বাকি সহযোগীদের খোঁজ চলছে। সূত্র: আনন্দবাজার।