নিউজ পয়েন্ট সিলেট
সোমবার, ১৭ মে, ২০২১
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মধ্যনগর ইউনিয়নের একটি গ্রামে রোববার দুপুরে ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীর (১২) সঙ্গে একই গ্রামের এক তরুণের (২২) বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। স্থানীয় এক যুবক বাল্যবিবাহ আয়োজনের খবরটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনতাসির হাসানকে জানান। ইউএনও তাৎক্ষণিক মুঠোফোনে মো. মবিন উদ্দিন (৩৫) নামে এক শিক্ষককে বাল্যবিয়েটি বন্ধ করতে মুঠোফোনে নির্দেশ দেন। ওই শিক্ষক দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বর ও কনের বাড়িতে যান। এ সময় তিনি অভিভাবকদের ১৮ বছরের আগে কোনো মেয়েকে বিয়ে দেয়ার কুফল ও রাষ্ট্রীয় আইনে এ ধরনের বিয়ের স্বীকৃতি নেই, এমনটি বুঝিয়ে বলেন।
এরপর ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মেয়েটিকে কোথাও বিয়ে দেয়া হবে না বলে দুইপক্ষের লোকজন এ বিষয়ে লিখিত অঙ্গীকার করেন।
অন্যদিকে উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের একটি গ্রামে এক কিশোরীর (১৩) সঙ্গে পাশে মোহনগঞ্জ উপজেলার এক যুবকের (২৫) আজ দুপুর দুইটার দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। এক বান্ধবীর কাছ থেকে খবর পেয়ে ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ চৌধুরীকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
ওসির নির্দেশে বেলা সোয়া একটার দিকে কনের বাড়িতে যান ধর্মপাশা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র দাস। কনের বাড়িতে পুলিশ রয়েছে, এমন খবর পেয়ে বর ও বরযাত্রী কনের বাড়িতে আসেনসি। পরে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বাল্যবিবাহের কুফল এবং এ নিয়ে আইনে কী বলা আছে, তা মেয়েপক্ষের অভিভাবকদের বুঝিয়ে বলেন। এরপর তারা এই বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে সম্মত হন।
অভিভাবকদের বুঝিয়ে বিয়ে দুটি বন্ধ করা হয়। মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগপর্যন্ত বিয়ে না দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে ধর্মপাশা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির হাসান বলেন, বাল্যবিবাহ বন্ধে উপজেলা প্রশাসন সব সময় তৎপর রয়েছে। আজকে উপজেলায় দুটি বাল্য বিয়ে পণ্ড করে দেয়া হয়েছে।