এরপর বিকেলের দিকে জাওয়াদ ইবনে জাহিদ খান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় পদ প্রত্যাখ্যান করে ফেসবুকে লেখেন, রাজনীতি থেকে যখন অপরাজনীতি শক্তিশালী হয়ে যায়, তখন আমার মতো কর্মীর প্রত্যাখ্যান করা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য স্বাক্ষরিত পত্রে জেলা কমিটি থেকে জাওয়াদ ইবনে জাহিদ খানকে প্রথম ও মুহিবুর রহমানকে তিন নম্বর সদস্য করা হয়।
চিঠি পাওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে মুহিবুর রহমান নিজের ফেসবুক পেজ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তিনি সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।নতুন ঘোষিত কমিটিতে সিলেট থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য পদে যুক্ত করা হয়েছে জাওয়াদ ইবনে জাহিদ খান, বিপ্লব কান্তি দাস, মুহিবুর রহমান মুহিব ও কনক পাল অরুপকে। এছাড়া মহানগর ছাত্রলীগ থেকে হুসাইন মোহাম্মদ সাগর ও সঞ্জয় পাশী জয়কে কেন্দ্রীয় সদস্য করা হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পর মাঠ পর্যায়ে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। একটি পক্ষ কমিটিতে আসা বিতর্কিতদের মেনে নিতে পারছেন না। যে কারণে মুহিবুর রহমান পদত্যাগ করেছেন। আরও কয়েকজন পদত্যাগ করতে পারেন।
স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, বিতর্কিতদের দিয়ে কমিটি করার কারণে স্থানীয় ছাত্রলীগের বড় একাংশ বিকেল ৪টায় কমিটিবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে।