1. joyantagoswami7165@gmail.com : Joyanta Goswami : Joyanta Goswami
  2. faisalyounus1990@gmail.com : Developer :
  3. newspointsylhet@gmail.com : News Point : News Point
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ০১:৩০ পূর্বাহ্ন

নিউজ পয়েন্ট সিলেট

বুধবার, ৫ মে, ২০২১

নয় দামানঃ সিলেট অঞ্চলের এই গানটি এখনও কপিরাইট ফ্রি


সময়ের অন্যতম আলোচিত গান ‘নয়া দামান’। সিলেট অঞ্চলের এই গানটি এখনও কপিরাইট ফ্রি। অর্থাৎ যে কেউ গানটি বাণিজ্যিকভাবে গাইতে ও ব্যবহার করতে পারবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী।

‘নয়া দামান’ গানটি মূলত সিলেট অঞ্চলের বিয়ের গান। আঞ্চলিক ভাষায় রচিত গানটি অর্ধশতাধিক বছর ধরে গীত হয়ে আসছে সিলেটের বিভিন্ন বিয়ের আসরে।

অনুসন্ধানে উঠে আসে, ১৯৭৩ সালে এয়ারুন্নেছা খানম নামের একজন কণ্ঠশিল্পীর কণ্ঠে প্রথম রেকর্ড করা হলেও গানটি ১৯৭৩-৭৪ সালে সমবেত কণ্ঠে সিলেট বেতারে গাওয়া হয়। বেতারের জন্য এই গানটির সুর করেছিলেন সিলেট বেতারের সংগীত প্রযোজক আলী আকবর খান। এইা গানের গীতিকার দিব্যময়ী দাশ বলে দাবি করেছে তার পরিবার।

জাফর রাজা চৌধুরী বলেন, ‘এদের কেউ বা তাদের পরিবারের কেউ যদি তাদের স্বত্ত্ব চেয়ে কপিরাইটের জন্য আবেদন করতেন তাহলে নিশ্চয়ই তা যাচাই করে দেখা যেত। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কোনো আবেদন আমাদের কাছে আসেনি।’

‘নয়া দামান’ গানের তালে ঢাকা মেডিক্যালের তিন চিকিৎসকের নাচের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে

জাফর রাজা চৌধুরী বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, ‘‘গানের কপিরাইট থাকে ৬০ বছর। এই সময় পরে যেকোনো গান যেকেউ গাইতে পারে বা বাণিজ্যিকভাবেও ব্যবহার করতে পারে। যেমন ধরেন ‘ওকি গাড়িয়াল ভাই’ গানটি এখন যে কেউ গাইতে পারবেন। কিন্তু নৈতিকভাবে আসল সুরকার, গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পীর নাম উল্লেখ করতে হবে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘দিব্যময়ী দাশের কথায় কণ্ঠশিল্পী এয়ারুন্নেছা খানম যে গানটি গেয়েছেন তার কোনো প্রমাণ কিন্তু এখনও পাওয়া যায়নি। তা ছাড়া, আলী আকবর খান যে রেডিওতে সুর করেছেন, সেটিও কিন্তু মূল সুর না। আগে একটা সুর ছিল। সেটিই তিনি রেডিওতে তার মতো করে তৈরি করেছেন। তাই তাকে বা তার পরিবারকে কোনো স্বত্ত্ব দেয়া অনিয়ম হবে।’

তাহলে কি ‘নয়া দামান’ গানের স্বত্ত্ব চাওয়ার সুযোগ এখন আর নেই? এমন প্রশ্নের জবাবে জাফর রাজা বলেন, ‘অবশ্যই আছে। সেক্ষেত্রে সুরকার যদি স্বরলিপি বা নোটেশন নিয়ে এসে প্রমাণ করতে পারেন বা গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী যদি প্রমাণ করতে পারেন তাহলে তিনি স্বত্ত্ব পাবেন।’

জাফর রাজা চৌধুরী জানান, গানটির স্বত্ব কেউ নিয়ে থাকলে তা ধরা হবে গানটির প্রকাশকাল তথা ১৯৭৩-৭৪ সাল থেকে। কেউ যদি প্রমাণ করে স্বত্ব নেনও তাহলে আর দুই অথবা তিন বছর সেই স্বত্ত্ব বা রয়েলিটি উপভোগ করতে পারবেন তিনি। প্রকাশের সময় থেকে ৬০ বছর পূরণ হলেই গানটি সবার জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে।

তাই নিশ্চিন্তে বলা যায় ‘নয়া দামান’ গানটি এখনও কপিরাইপ ফ্রি। কেউ নিয়ে থাকলেও দুই-তিন বছরের মধ্যে গানটি পুরোপুরিভাবে সবার জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে।
সূত্র: নিউজবাংলা

আপনার মতামত দিন
এই বিভাগের আরও খবর

সিলেটের সর্বশেষ
© All rights reserved 2020 © newspointsylhet