আল-জাজিরা জানায়, টোকিওতে শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের তিনি জানান, নির্বাচনের দৌড়ে অংশ নেওয়া এবং করোনা ভাইরাসরোধী পদক্ষেপ নেওয়ার প্রচুর জীবনীশক্তি প্রয়োজন।
৭২ বছর বয়সী সুগা গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিনজো অ্যাবের পর ক্ষমতায় আসেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরে যান অ্যাবে। এদিকে বর্তমানে জাপান যখন করোনাভাইরাসের নতুন একটি ঢেউয়ে বিপর্যস্ত তখন ইয়োশিহিদে সুগার জনপ্রিয়তা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে।
দলটির মহাসচিব তোশিহিরো নিকাই জানান, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির কার্যনির্বাহী বৈঠকে সুগা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার কথা বলেন। সেই সঙ্গে এদিন তিনি যে আর নির্বাচনে দাঁড়াবেন না সেটিও জানান।
তিনি বলেন, সত্যি বলতে আমি অবাক হয়েছি। এটা আক্ষেপের। তিনি তার সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করেছিলেন, তবে এটাই তার সিদ্ধান্ত।
আল-জাজিরা জানায়, এটা এমন এক সিদ্ধান্ত যার কোনো পূর্বাভাস ছিল না। সুগা কোনোভাবেই এটা প্রকাশ করেননি যে ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র এক বছর পরেই তিনি আর নির্বাচনে না দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
করোনা ঠেকাতে জাপানে এখনও জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। দেশটিতে ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হলেও এখনও ধীরগতিতে চলছে টিকাদান কার্যক্রম। করোনার কারণে জাপানে অর্থনৈতিক সংকটও তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া করোনার মধ্যে অলিম্পিকের আয়োজন করে জনগণের তোপের মুখে পড়েন সুগা।
বার্তাসংস্থা এএফপির বরাতে জানা যায়, আগামী ৩১ আগস্ট এর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সরকার আরও কিছু এলাকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করছে এবং দেশের সব অঞ্চলে এটি ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চালু রাখা হবে। করোনা মোকাবিলাবিষয়ক মন্ত্রী ইয়াসুটোশি নিশিমুরা বলেছেন, ‘জাপানে যেভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে, আগে আমাদের সে রকম অভিজ্ঞতা হয়নি।’ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি আরো বলেন, আশঙ্কাজনক রোগীর সংখ্যা দিন দিনই বাড়ছে। সূত্র- আল-জাজিরা, বিবিসি, এএফপি