নিউজ পয়েন্ট সিলেট
রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২০
আব্দুল মুকিত, বড়লেখা প্রতিনিধিঃ নানা সংকট আর সমস্যা নিয়ে জর্জরিত মৌলভীবাজারের ৫০ শয্যার বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীরা পান না ঔষাধ, আবার অনেক রোগীরা সময়মতো সেবা না পেয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে সেবা নিতে হচ্ছে।
ময়লা আর্বজনাসহ নানা সংকটে ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির বিভিন্ন পদে লোকবল সংকট থাকলেও ২০১৮ সালের ৪ই সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও লোকবল সংকটসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়ে কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হয়। একদিকে দায়িত্বশীলদের দায়িত্ব পালন করতে হিসশিম ও রোগীদের নানা দূভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য জনপ্রতিনিধি সহ এলাকাবাসী জোর দাবী জানান। জানা যায় ৩১ শয্যার বড়লেখা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির বিভিন্ন পদে জনবল সংকট যার মধ্যে মেডিকেল ট্যাকনোলজিষ্টের ২টি পদের ২টি পদই খালি, এক্স-রে টেকিনিশিয়ান রেডি-গ্রাফারের পদটিও শূন্য।
এছাড়াও স্বাস্থ্য পরিদর্শকের ২টি পদই শূণ্য, স্বাস্থ্য সহকারী পরিদর্শক ৭টি পদের মধ্যে ৬টিই শূন্য, উপ-সহাকারী মেডিকেল এসএসএমও ১৩টি পদের মধ্যে ৫টি পদে জনবল রয়েছে।
পরিচ্ছন্নতা কর্মী ৫টির মধ্যে ৪টি ও আয়া পদটিও শূণ্য, মিডওয়াইফ ৫টি পদের মধ্যে ৩টিই শূণ্য, নিরাপত্তা প্রহরী ২টি পদের মধ্যে ১টি পদ শূণ্য রয়েছে।
৩১ শয্যার হাসপাতালটি বর্তমানে ৫০ শয্যার উন্নীত করার ০২ বৎসর অতিবাহিত হলেও স্বাস্থ্য সেবার কোন উন্নতি হয়নি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইস ফাউন্ডেশন, বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলা শাখার মহিলা বিষয়ক নেত্রী জাহানারা বেগম, সমাজ সেবক শাহাব উদ্দিন, ব্যাবসায়ী আব্দুল মালিক সহ অনেকে জানান ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা করলেও রোগীদের কোন সেবা উন্নতি হয়নি। হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ করিলে ময়লা, আর্বজনা, দূগর্ন্ধ পাওয়া যায়। অনেক প্রসুতি রোগীকে নিয়ে গেলে ডাক্তার না পাওয়ায় বাহিরের ক্লিনিক গুলোতে নিয়ে ডেলিভারী করাতে হয়। রোগীদের ঔষাধ বাহির থেকে কিনে আনতে হয়। পানিরও প্রকট সংকট রয়েছে। নানাবিধ সমস্যার ব্যাপারে আমরা স্থানীয় সংসদ ও বর্তমান সরকারের বন, পরিবেশ ও জলবায়ূ পরিবর্তন মন্ত্রী আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিন এম.পি’র নিকট এসব সমস্য দ্রæত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি উপজেলাবাসীরা জোর দাবী।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান জনবল সংকটের জন্য আমাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ পেতে হয়। ৩১ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল সংকট রয়েছে তারপর ৫০ শয্যা হওয়ায় আমাদের সংকট আরোও বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য আমরা দায়িত্ব পালনে রীতিমত হিমশীম খেতে হয়। এব্যাপারে আমরা চিঠির মাধ্যমে জনবল সংকটের কথা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। নিয়োগ বন্ধ থাকায় তার সমাধান হচ্ছে না।