তাদের মধ্যে এমন ব্যক্তিও রয়েছেন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় রয়েছেন বা যার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
নতুন তালেবান সরকারে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচয়-
১. হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা
২০১৬ সালের মে মাস থেকে তালেবানের ‘সুপ্রিম লিডার’ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। তালেবান ঘোষিত তথাকথিত ‘ইসলামিক এমিরেট অব আফগানিস্তান’-এর তিনি শীর্ষ নেতা।
আশির দশকে তিনি আফগানিস্তানে সোভিয়েত দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নিয়েছেন। তবে সামরিক কমান্ডারের তুলনায় একজন ধর্মীয় নেতা হিসাবেই তার পরিচিতি বেশি। নব্বইয়ের দশকে শরিয়া আদালতের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আখুন্দজাদা।
১৯৯৬ সালে প্রথমবার তালেবান ক্ষমতায় আসার পর তালেবান তাদের মতো করে ধর্মীয় আইনকানুন চালু করে। সেই সময় হত্যাকারী ও ব্যভিচারীদের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতো এবং চোরদের হাত কেটে ফেলা হতো। তখনকার তালেবান নেতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের (ধারণা করা হয় তিনি ২০১৩ সালে মারা গেছেন) নেতৃত্বে তালেবান টেলিভিশন, সংগীত, চলচ্চিত্র নারীদের মেকআপ বা রূপসজ্জার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। ১০ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের স্কুলে যাওয়াও তারা নিষিদ্ধ করেছিল।
হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার বয়স ৬০ বছর বলে ধারণা করা হয়। তার জীবনের বেশির ভাগ সময় আফগানিস্তানে কাটিয়েছেন। তালেবানের সুপ্রিম লিডার হিসেবে তিনি রাজনৈতিক, সামরিক এবং ধর্মীয় সব বিষয়ের শীর্ষ নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।