
নিউজ পয়েন্ট সিলেট
শনিবার, ২০ মার্চ, ২০২১
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশিদ চত্বর থেকে এক তরুণীকে চন্ডিপুল পৌছে দেওয়ার কথা বলে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে চার যুবক। তবে চন্ডিপুলে না নামিয়ে তরুণীকে জোরপূর্বক অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায় তারা। সেখাতে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ওই তরুণীকে রাত সাড়ে ৯টায় অটোরিকশায় করে লালাবাজারের পাশে নামিয়ে দিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ২০ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা করেন আক্রান্ত তরুণীর বোন।
এরপর পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হয়।
ওসি মো: মনিরুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার ধর্ষণের ঘটনায় প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত সুরমান খান (৩০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাহাকে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একে একে সোহেল মিয়া (২৮) জামাল খাঁন (৩৫) ও সাইফুর রহমান বাবুল (২৩) কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা সকলেই সিলেটের ওসমানী নগরের বাসিন্দা।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, ওসমানীনগর থানাধীন চন্ডীত্তীয়র গ্রামের কালা চাঁদের তলার দক্ষিণ পাশে রুনি হাওড় নামক স্থানে খালি জমিনে নিয়ে ওই তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা।
এরপর শুক্রবার গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মিয়া, জামাল খাঁন (৩৫) ও সাইফুর রহমান বাবুল (২৩) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।