দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশে এক সাংবাদিককেও তারা হত্যা করেছে। সোমবার (৯ আগস্ট) আফগানিস্তানের বর্তমান সরকারের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রয়টার্স জানায়, কাবুলের পাকতিয়া ঘাগ নামে একটি রেডিও স্টেশনের ম্যানেজার তোফান ওমরকে রোববার গুলি করে হত্যা করে তালেবানদের সশস্ত্র যোদ্ধারা।
আফগানিস্তানের মুক্ত গণমাধ্যমবিষয়ক এনজিও এনআইএর প্রধান মুজিব খেলওয়াতগার বলেন, ওমরকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি খুব উদার মানুষ ছিলেন। আমাদের ধরে ধরে টার্গেট করা হচ্ছে। স্বাধীনভাবে কাজ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
গত মাসে এনআইএ তাদের প্রকাশিত রিপোর্টে জানায়, এ বছর আফগানিস্তানে ৩০ জনের বেশি সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে হেলমান্দ প্রদেশের বর্তমান আফগান সরকারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রদেশটির রাজধানী লস্কর গাহ থেকে রোববার নিয়ামাতুল্লাহ হেমাত নামে এক সাংবাদিককে অপহরণ করে নিয়ে গেছে তালেবান যোদ্ধারা।
এদিকে নিয়ামাতুল্লাহ যে বেসরকারি টিভি চ্যানেলের কর্মী ছিলেন তার প্রধান রেজোয়ান মিয়াখাল বলেন, কখন হেমাতকে তুলে নিয়ে গেছে তা আমরা বুঝতে পারি। আমরা খুবই আশঙ্কা এবং আতঙ্কের মধ্যে আছি কখন আমাদের ভাগ্যে কি ঘটবে তা নিয়ে।
তালেবানদের এক মুখপাত্র রয়টার্সের কাছে দাবি করেছেন তাদের কাছে সাংবাদিক হত্যা বা অপহরণের কোনো তথ্য নেই।
এদিকে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়ে ওঠেছে তালেবান। একদিনে তিনটি প্রাদেশিক রাজধানী নিজেদের দখলে নিয়েছে তারা।
জারাঞ্জ ও শেবারগান দখল করার পর এবার কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কুন্দুজ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কথা জানিয়েছে তালেবান। এই নিয়ে তিন দিনে ৫টি প্রাদেশিক রাজধানী দখলে নিয়েছে তালেবান।