নিউজ পয়েন্ট সিলেট
বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০২০
দেহের প্রত্যেকটি কোষের অভ্যন্তরে ডি অক্সি রাইবো নিউক্লিক এসিড রয়েছে। ডিএনএ অনুগুলোকে দেহের নীল নকসা বলা হয়। এ নকশার ইঙ্গিতই শারীরিক গঠন আকৃতিসহ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। প্রত্যেক প্রাণী ও উদ্ভিদের জীবনধারণ ও জৈবিক কার্যক্রমের মৌলবিশিষ্ট ডিএনএ নির্ধারণ করে থাকে।
ডিএনএ’র জন্য হাতি হাতির মতো, মাছ মাছের মতো আর মানুষ মানুষের মতো। ডিএনএ একমাত্র প্রযুক্তি যা সঠিক প্রমাণ দিতে সক্ষম। ঘটনাস্থল বা ভিকটিমের কাছ থেকে প্রাপ্ত জৈবিক সাক্ষ্য যেমন- চুল, লালা, রক্ত, মাংস, হাড় ইত্যাদিকে ডিএনএ’র মাধ্যমে প্রযুক্তির সহায়তায় বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে সঠিক মতামত দিতে সক্ষম।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের আদালতে বিতর্কিত সন্তানের পিতৃত্ব নির্ধারণ, বিকৃত বা নিখোঁজ ব্যক্তি সনাক্তকরণ, ভিকটিমের ডিএনএ’র সাথে পিতামাতার তুলনা, অনুস্থলে প্রাপ্ত পুরাতন বীর্যের দাগের সাথে অপরাধীর বীর্যের তুলনা, ঘটনাস্থলে প্রাপ্ত বীর্য-রক্তের সাথে অপরাধীর বীর্য-রক্তের তুলনা ইত্যাদির ক্ষেত্রে ডিএনএ টেষ্ট ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
মানবদেহ কোষে ডিএনএ শুকনো অবস্থায় অবিকৃতভাবে দীর্ঘদিন থাকে। আদালতে প্রমাণ হিসেবে ডিএনএ প্রাসঙ্গিক ও গ্রহনযোগ্য বলে বিবেচিত।
লেখক: দেবব্রত চৌধুরী লিটন, অ্যাডভোকেট, জজ কোর্ট, সিলেট।