
নিউজ পয়েন্ট সিলেট
বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২০
নিউজ পয়েন্ট ডেস্ক:: ৪শ’ বছর আগে যে গীর্জাটি পানির নীচে বিলীন হয়ে গিয়েছিল। সেটি জেগে উঠলো ৪শ’ বছর পর। ২০০২ সালে শেষবার দেখা গিয়েছিল এই গীর্জাটি।
দক্ষিণ মেক্সিকোর চিয়াপাস রাজ্যের গ্রিজালবা নদীর পানির গভীরতা কমে যাওয়ায় সলিল সমাধি হতে জেগে উঠেছে ৪শ’ বছরের প্রাচীন স্প্যানিশ গীর্জাটি।
এ বছর প্রবল খরার কারণে হু হু করে কমেছে গ্রিজালবা নদীর পানি। শেষ পর্যন্ত ৮০ ফুট নেমে গেছে পানিরস্তরের মাত্রা। সে কারণে দক্ষিণ মেক্সিকোর চিয়াপাস রাজ্যে ২০০২ এর পর অর্থাৎ ১৩ বছর পর আবার দৃশ্যমান হয়েছে ৪শ’ বছরের প্রাচীন এই গীর্জাটি। দেখা যাচ্ছে গীর্জাটির ১০ মিটার উঁচু দেওয়াল ও ৬১ মিটার লম্বায় এবং চওড়ায় ১১ মিটারের প্রার্থনাকক্ষটিও।
২০০২ সালে শেষ বার এমন ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় অনেকেই ছাদহীন ঐতিহাসিক এই গীর্জাটির ভিতর ঢুকতে পেরেছিলেন। এই বছর পানির স্তর যেভাবে কমেছে, তাতে করে ভিতরে ঘোরাঘুরি করতে না পারলেও নৌকো নিয়ে গীর্জা প্রদক্ষিণে মেতেছেন অনেকেই।
জানা যায়, ১৬ শতকের মাঝামাঝি বিখ্যাত ধর্মপ্রচারক ফ্রায়ার বার্থোলোমিউ দে লা কাসা দক্ষিণ আমেরিকার কেচালা অঞ্চলে আসেন। তার সঙ্গে সেদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন বহু অনুগামী এবং প্রচারক। স্প্যানিশ কনকুইস্তাদরদের হাতেই এই গীর্জাটি নির্মিত হয়।
উল্লেখ্য, বাস্তুকার কার্লোস নাভার্রাতে-র ধারণা মতে, ১৭৭৩ হতে ১৭৭৬ সালের মধ্যে গ্লেগ মহামারির কারণে পরিত্যক্ত করা হয় বার্থোলোমিউ দে লা কাসা-র তৈরি এই গীর্জাটি। ১৯৬৬ সালে গ্রিজালবা নদীর উপর বাঁধ তৈরি করা হলে পানি জমে সৃষ্টি হয় এক বিশাল জলাধার। সেই জলাধারার অতলে তলিয়ে যায় এই গীর্জাটি।