সোমবার (১৯ জুলাই) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নতুন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘১৯৭৩-৭৪ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। যখন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করি, তখন মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম।’
এর আগে রোববার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় ড. শামসুল আলম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গভবনে শপথ নেন। শপথ নেওয়ার পর পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদ্য সাবেক হওয়া এই সদস্য।
রোববার (১৮ জুলাই) রাতে তাকে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তিনি দীর্ঘ ১২ বছর ধরে চুক্তিভিত্তিক এই বিভাগের দায়িত্ব পালন করেছেন। সংসদ সদস্য না হওয়ায় তিনি মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন টেকনোক্র্যাট হিসেবে।
শামসুল আলম পেশাগত জীবনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৫ বছর অধ্যাপনার অভিজ্ঞতা শেষে প্রেষণে ছুটিতে যান।
এ ছাড়া ২০০২-০৫ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় পূর্ণকালীন চাকরিতে যুক্ত ছিলেন। ২০০৯ সালে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব মর্যাদা) হিসেবে নিয়োগ পান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টানা তিন মেয়াদের সরকারের প্রথম থেকে ভিশনারি সব পদক্ষেপের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত আছেন ড. আলম।
বাংলাদেশের প্রথম দীর্ঘমেয়াদি পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা ‘রূপকল্প ২০১০-২০২১’ এবং শতবর্ষী বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০-সহ একাধিক পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণীত হয়েছে তার হাত ধরে।