মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি একথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, জিয়াউর রহমানের অবদান অস্বীকার করা যাবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিকে ভিন্নখাতে নিতে জিয়াউর রহমানের নামে মুখোরোচক ইস্যু ছেড়ে দিয়েছে সরকার।
এ সময় শেখ কামালের জন্মদিন পালনের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে নুর বলেন, খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন থেকে সরে আসলেও ওই মাসে শেখ কামালের জন্মদিন কিভাবে পালন করছে সরকার?
আলোচনায় সরকারের সার্বিক কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে ডাকসুর সাবেক ভিপি আন্দোলনের আহ্বান জানান। বলেন, ‘আমরা যদি আন্দোলন করতে পারি, পুলিশ ও প্রশাসন ও আমাদের বিপক্ষে দাঁড়াবে না। যার যার ব্যানারে থেকে একই ইস্যুতে আন্দোলন করতে হবে।’
সামনে নির্বাচন কমিশন গঠন ইস্যুসহ বিভিন্ন ইস্যু আসছে। এসব ইস্যু কাজে লাগাতে না পারলে দেশ রাজতন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত হবে বলেও মন্তব্য করেন নুর।
আন্দোলনে জ্যেষ্ঠ নেতাদের মাঠে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আন্দোলনের মাঠে সামনে থাকবেন। গুলি করলে সবাই দাঁড়িয়ে যেতে হবে। এবার ভুল করলে ভয়াবহ পরিণতি হবে।’
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, সরকার আতঙ্কে আছে। হুট করে মাঠে নামা যাবে না। প্রস্তুতি নিয়ে আমাদের নামতে হবে। মনোবল দুর্বল করবেন না। ভারতীয় পুতুল সরকার হটিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির সভাপতি সৈয়দ ইব্রাহীম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ।