পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, কোনো দেশের সম্পর্কে ভুল তথ্য পরিবেশন গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন দপ্তর ২০২০ সালের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেখানে বাংলাদেশের মানবাধিকারের প্রশ্নে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে বলা হয়, তাকে হাউজ অ্যারেস্ট বা গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।
এ ধরনের বানোয়াট তথ্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার জাভেদ প্যাটেলকে রোববার ডেকে পাঠায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাকে জানানো হয়, দুর্নীতির মামলায় বেগম খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তিনি কারাভোগ করে আসছিলেন। বেগম জিয়ার ভাইয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার বয়স এবং অসুস্থতা বিবেচনা করে গত বছরের ২৫ মার্চে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয় সরকার। যাতে তিনি নিজ বাসায় চিকিৎসা সুবিধা পান। এ মুক্তির মেয়াদ ৬ মাসের থাকলেও পরবর্তীতে তা দু’দফায় বাড়ানো হয়।
এ বিষয়ে সোমবার (১২ জুলাই) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, কোনো দেশের সম্পর্কে ভুল তথ্য পরিবেশন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া গৃহবন্দি নন। তাদের তথ্যটা নির্ভুল না। দুঃখের বিষয় তারা মাতব্বরি করে। তিনি স্বীকার করেছেন (বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার জাভেদ প্যাটেলকে) তাদের রিপোর্টগুলো তথ্য নির্ভর হওয়া উচিত। আর তিনি সেটি তাদের হেড কোয়াটারে জানাবেন বলেছেন।
এদিকে, মানবাধিকার রিপোর্টে বাংলাদেশ অংশের ভুল ও বানোয়াট তথ্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে চিঠি পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভেতরে চলাফেরায় তার কোনো প্রতিবন্ধকতা নাই। তারপরও তারা এ কথা লিখেছে, সেটি আমি আপত্তি করে লিখবো ও প্রতিবাদ করবো আর ব্রিটিশ পার্লামেন্টে চিঠি পাঠাবো।
বিশেষ বিবেচনায় বেগম খালেদা জিয়া মুক্তির পর ১৬ মাস তিনি কারাভোগের বাইরে রয়েছেন।