1. joyantagoswami7165@gmail.com : Joyanta Goswami : Joyanta Goswami
  2. faisalyounus1990@gmail.com : Developer :
  3. newspointsylhet@gmail.com : News Point : News Point
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১১ অপরাহ্ন

নিউজ পয়েন্ট সিলেট

মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০

ক্লো-লেস মোঃ হেলাল উদ্দিন উরফে মনসুর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন


স্টাফ রিপোর্টারঃ এসআই(নিঃ) মোঃ ফায়াজ উদ্দিন ফয়েজ, ইনচার্জ, দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ি, দক্ষিণ সুরমা থানা, এসএমপি, সিলেট গত ০৮/০৭/২০২০খ্রিঃ ভোর অনুমান ০৫:৪৫ ঘটিকায় হুমায়ুন রশীদ চত্ত্বরের অদূরে রেললাইন সংলগ্ন পাকা রাস্তার পাশে থেকে অনুমান ২৭ বৎসর বয়স্ক অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেন। তার পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। প্রাথমিক দৃষ্টিতে তার নিকট প্রতীয়মান হয় লোকটি’কে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে আঘাত করে হত্যা করেছে। লাশের পরিচয় উদঘাটনের চেষ্টা করেন। তাৎক্ষণিক পরিচয় না পাওয়ায় অজ্ঞাত হিসেবে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করেন। লাশের পরিচয় সনাক্তের জন্য মরচ্যুয়ারীতে রাখেন। ঘটনায় নিজে বাদী হয়ে অজ্ঞাত দুস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। দক্ষিণ সুরমা থানার মামলা নং-১০, তাং-১২/০৭/২০২০খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড। লাশ নগরীর মানিকপীর টিলায় দাফন করেন।

ইত্যবৎসরে Finger print matching এর মাধ্যমে লাশের পরিচয়পত্র সনাক্ত হয়। তাহার নাম হেলাল উদ্দিন উরফে মনসুর, পিতা-ফরিদ আহমদ, মাতা-আরফা বেগম, সাং-চেমীরমুখ পাড়া কুহালং, থানা-বান্দরবান সদর, জেলা-বান্দরবান পার্বত্য জেলা। তিনি সিলেট নগরীতে ভাসমান হিসেবে বসবাস করতেন।

ক্লুলেস হত্যা মামলাটি তদন্তে নেমে বিভিন্ন প্রক্রিয়া অনুস্বরণ করে এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ অবশেষে সক্ষম হয়েছে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে। সহকারী পুলিশ কমিশনার জনাব মো: ইসমাইল পিপিএম-বার, দক্ষিণ সুরমা থানা, এসএমপি, সিলেট ও এসআই/মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন ২০/১২/২০২০খ্রিঃ ঘটনায় জড়িত আসামী আল-আমিন (২২), পিতা- আব্দুল বাতেন, মাতা-রহিমা বেগম, সাং-টেংরা টিলা, থানা-দোয়ারাবাজার, জেলা-সুনামগঞ্জ, বর্তমানে- বরইকান্দি ১নং রোড, সোহাগ মিয়ার কলোনীর ভাড়াটিয়া, থানা-দক্ষিণ সুরমা, জেলা-সিলেট’কে গ্রেফতার করেন। তাহাকে বিভিন্ন কৌশলে জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্বীকার করে হেলাল উদ্দিন মনসুর হত্যার পূর্বাপর ঘটনা। সে জানায় নিহত হেলাল উদ্দিন উরফে মনসুর, ঘাতক বাছির ও সে পরস্পর বন্ধু ছিল। গত ০৭/০৭/২০২০খ্রিঃ দিবাগত রাতে তাহারা একত্রে গাঁজা সেবন করে এবং ঘাতক বাছিরের সহিত মোবাইল ফোন নিয়ে ঝগড়া হলে ঘাতক বাছির তার নিকট থাকা ছুরি দিয়ে মনসুরের পেটে ঘাই মারে। মনসুর ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে গেলে তাহারা পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত আসামী আল-আমিন (২২) কে ২১/১২/২০২০খ্রি: তারিখ বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, আমলী আদালত-২য়, সিলেট-এ হাজির করা হয়। আসামী আল-আমিন (২২) ঘটনায় দোষ স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ফৌ: কা: বি: ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। অভিযান চলছে।

আপনার মতামত দিন
এই বিভাগের আরও খবর

সিলেটের সর্বশেষ
© All rights reserved 2020 © newspointsylhet