
নিউজ পয়েন্ট সিলেট
বৃহস্পতিবার, ২২ জুলাই, ২০২১
এবারের কোরবানির ঈদের আগে ব্যাপক পরিচিতি পাওয়া দুটি ষাঁড় ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড‘ ও ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড-২’ ক্রেতা না পেয়ে রাজধানীর পশুর হাট থেকে মুন্সীগঞ্জের খামারে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এতে বিপর্যয়ের পাশাপাশি খামারি পড়েছেন চরম লোকসানের মুখে।
জেলার খামারি শরীফ ঢালী তার খামার আলোকিত করা দুটি ষাঁড় `ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ নিয়ে নানা স্বপ্নে বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন এখন ফিকে। এবারের কোরবানিতে দেশসেরা হিসেবে খ্যাত ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ ষাড় দুটোকে হাট থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বিশাল আকৃতির এই ষাঁড় দুটি নিয়ে এখন বিপাকে পড়েছেন খামারি।
বিক্রি না হওয়ায় এক হাজার ৬শ কেজি ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ ও এক হাজার একশ কেজি ওজনের ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড-২‘ খামারির জন্য যেন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে তার। ষাঁড় দুটোর খাবারের তালিকা যেন অনেকটাই হাতির খোরাক। প্রতিদিন প্রায় দেড় মণ খাবার খায় ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’। ষাঁড়টিকে লালন-পালন করতে এখন কোথা থেকে সেই খাবার যোগান দেবেন তা নিয়ে মহাদুঃশ্চিন্তায় মালিক।
খামারি শরীফ ঢালী বলেন, হাটে খুব সতর্কতার সঙ্গে নিতে হয়েছে। হাটে নিয়ে যাওয়া ও ফিরিয়ে আনার সময় ট্রাকে তুলতে খুবই কষ্ট হয়েছে। হাটে নেওয়ার পর ষাঁড় দুটোকে ভালো পরিবেশে রাখতে হয়েছে। সেখানে নিয়ে আবার যে কোনো খাবার দিলে খায় না। পছন্দের ভালো খাবার হলেই খায়।
ষাঁড়টিকে বিক্রির জন্য নেওয়া হয়েছিল রাজধানীর ধোলাইখালের খোকার মাঠে। শুধু আনা-নেওয়ায় খরচ হয় অর্ধ লাখ টাকা।
শরীফ ঢালীর মতো এমন বিপাকে জেলার শতাধিক খামারি। করোনার কারণে ক্রেতা কম। এসব খামারিদের রক্ষায় দরকার বিশেষ প্রণোদনা বলে মনে করেন মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলা উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আব্দুল খালেক মাল।
প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পালনকৃত ৯ ফুট দীর্ঘ সাড়ে ৫ বছর বয়সী ব্রহমা জাতের ’ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ ষাড়টির উচ্চতা ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি।