
নিউজ পয়েন্ট সিলেট
বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১
গত বছরের মতো এবারও জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে না। বুধবার (১৪ জুলাই) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাসের সময় নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, যেহেতু জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আয়োজন করতে দীর্ঘ প্রস্তুতি নিতে হয়, তাই সাময়িক লকডাউন শিথিলের পর এই স্বল্প সময়ে সেই আয়োজন করা সম্ভব নয়।
তবে এ বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, আমি চাই গতবারের মতো এবারও ঈদ জামাত মসজিদের ভেতরে অনুষ্ঠিত হোক।
যদিও ধর্ম মন্ত্রণালয় উন্মুক্তস্থানে নামাজ আদায় করা যাবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করেছে। সে বিষয়ে মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত মত হলো করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে উন্মুক্তস্থানের চেয়ে মসজিদের ভেতরে সুরক্ষা দেওয়া সহজ। তাই অন্তত দক্ষিণ সিটিতে যাতে মসজিদেই নামাজের ব্যবস্থা করা হয় সেই আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক নির্দেশনায় বলা হয়, করোনাভাইরাসের স্থানীয় পরিস্থিতি ও মুসল্লিদের জীবন-ঝুঁকি বিবেচনা করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে যথোপযুক্ত বিবেচিত হলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ঈদুল আজহার জামাত মসজিদ, ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মসজিদে ঈদের নামাজ আয়োজনের ক্ষেত্রে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।
প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে মসজিদে/ঈদগাহে আসতে হবে এবং অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদ/ঈদগাহে অজুর স্থানে সাবান, পানি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
মসজিদ/ঈদগাহ মাঠের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান ও পানি রাখতে হবে।
ঈদের নামাজের জামাতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। নামাজের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।
নির্দেশনায় শিশু, বয়স্ক, অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। নামাজ শেষে কোলাকুলি ও হাত মেলানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। খতিব, ঈমাম, মসজিদ/ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।