এর আগে শিক্ষার্থীদের পাস করানোর একাধিক বিকল্প প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে। সেসব প্রস্তাবের মধ্যে একটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেটি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির কাছে পাঠানো হয়েছে। সেই প্রস্তাবের ভিত্তিতে বোর্ডগুলো কাজ শুরু করবে।
সোমবার (১২ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয় নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করবেন। এই সপ্তাহেই সংবাদ সম্মেলনটি হতে পারে। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী যে দিকনির্দেশনা দেবেন, তা বাস্তবায়ন করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে গত বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ঠিক আগেই এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা আটকে যান। পরে অবশ্য তাদের ‘অটোপাস’ করিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর দফায় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। দীর্ঘ ছুটির কারণে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে।
ছুটির সময় কোনো পাবলিক পরীক্ষা হয়নি। আর উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ফল প্রকাশ করা হয় তাদের এসএসসি ও জেএসসির ফলের গড় করে।
চলতি বছরে কয়েক দফায় স্কুল ও কলেজ খোলার দিনক্ষণ নির্ধারণ এবং প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলা হলেও মহামারি পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় তা এখনও সম্ভব হয়নি।