বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ-ভারত ১১তম ফ্রেন্ডশিপ ডায়লগের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। ঐতিহাসিক এই সম্পর্ক অনেক সুদৃঢ় ।

তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষ ভারতের এই ত্যাগের কথা কখনো ভুলবে না।

 

স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ফ্রেন্ডশিপ সংলাপে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়াবে।

স্পিকার বলেন, দুই দেশের সরকার সন্ত্রাসবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই নীতি বিশ্বব্যাপী প্রশংসা পেয়েছে।

স্পিকার বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে সংসদীয় সহযোগিতা বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব দেন।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।

অনুষ্ঠানে ছিলেন ভারত পার্লামেন্টের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ভিনসেন পালা, ভারতের সাবেক সংসদ সদস্য স্বপন দাস গুপ্ত, বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

সাবেক মন্ত্রী ভিনসেন পালা বলেন, বাংলাদেশ ‘গুড গভর্নেন্স’ তৈরিতে অনন্য নজির স্থাপন করেছে। দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে বর্তমান সরকার অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসা পেয়েছে।

 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইসিটি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মুনতাসীর মামুনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এ এস এম শামছুল আরেফিন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আয়োজিত এ সংলাপের প্রথম দিনে আলোচনা সভায় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডি.আর