
নিউজ পয়েন্ট সিলেট
সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২০
দিরাই প্রতিনিধি :: উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রতি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী, দিরাই পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক আহবায়ক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলাম সফিক। তাঁর প্রতীক হেলমেট। গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও তুমুল প্রচারণার মাধ্যমে ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন তিনি। নির্বাচিত হলে দিরাই পৌরসভা নিয়ে তাঁর পরিকল্পনা ভোটারদের আকৃষ্ট করেছে। তিনি বলেন, ভোটাররা আমার উপর আস্থা রাখলে অবহেলিত দিরাই পৌরসভার উন্নয়নে যা যা করা প্রয়োজন আমি করবো। তিনি বলেন, দিরাই পৌরসভা প্রতিষ্ঠার ২১ বছর পেরিয়েছে। অথচ অনেক গ্রামের লোক এখনো বাঁশের সাঁকো ও নৌকা দিয়ে যাতায়ত করে। বিষয়টি দুঃখজনক। এছাড়া পৌর শহরের বেশীরভাগ রাস্তার বেহাল দশা। আমি নির্বাচিত হলে পৌরসদরের কোন গ্রাম সড়ক যোগাযোগের বাইরে থাকবে না। ইমাম-মুয়াজ্জিন, পুরোহিতদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করবো। সরকারের বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সবধরণের সুযোগ সুবিধা নাগরিকদের মধ্যে সুষম বন্টন করবো। রাতের আঁধারে পৌরবাসির চলাচলের সুবিধা ও চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা এড়াতে ছোট-বড় সকল রাস্তায় ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করে পুরো পৌর এলাকাকে আলোকিত করবো। পৌর এলাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবো। দিরাই পৌর শহরের থানা পয়েন্টে সুদৃশ্য গোলচত্বর নির্মাণসহ শহরের সৌন্দর্য বর্ধনে কাজ করবো। পৌর এলাকার খাল অবৈধ দখলমুক্ত ও কয়েকটি যাত্রী চাউনি নির্মাণ করবো। এককথায়, নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে করণীয় সবটুকু করতে আমি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো। মানুষের সুখদুঃখের সাথী হবার ব্রত নিয়েই আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে ভাটির জনপদ দিরাই উপজেলা সদরকে পৌরসভায় রুপান্তর করা হয়। উপজেলা সদরের ১৭ টি গ্রাম নিয়ে পৌরসভা গঠিত হয়। ৬.৫ বর্গ বর্গমিটার আয়তনের এ পৌরসভায় বর্তমান ভোটার ২১ হাজার ৩৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৫৫২, নারী ১০ হাজার ৮২৭। ২০১৫ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হন বর্তমান মেয়র মোশাররফ মিয়া। চতুর্থবারের মতো এই পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগমী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবার মেয়র পদে ৮ জন, নারী কাউন্সিলর পদে ১৩ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছেন।