ইতালিতে এখন কেবল ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেওয়া হলেও এর আগে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও জনসন অ্যান্ড জনসনেরও টিকা দেওয়া হয় সাধারণ মানুষকে। গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, দুই ডোজ গ্রহণকারীদের মধ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম। প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের কার্যকরিতা প্রায় ৮৮ শতাংশ।
টিকা গ্রহণকারীরা নতুন করে আক্রান্ত হলেও এদের মধ্যে ৯৪ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন পড়ে না। এমনকি নিবিড় পর্যবেক্ষণে নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না প্রায় ৯৭ শতাংশকে।
টিকার এতসব ইতিবাচক পরিসংখ্যানে আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন প্রবাসীরা। টিকা নেওয়ার আগ্রহও বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলেন, ভ্যাকসিন করোনা প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখছে। তাই আমরা যারা প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছি, আমাদের এখনই টিকা নেওয়া উচিত।
তারপরও সম্প্রতি ইতালিতে ছড়িয়ে পড়া করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন খোদ সরকার। আর তাই ভ্যারিয়েন্টটির সংক্রমণ রুখতে টিকা নিলেও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এতে ক্রমেই আতঙ্ক বাড়ছে জনমনে।
স্থানীয়রা বলছেন, দেশটিতে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব দিন দিন যেভাবে বাড়ছে তাতে সবার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
টিকা কর্মসূচি জোরদারের পাশাপাশি ইতালিতে গ্রিন পাস বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। এসব পরিকল্পনা আগামীতে দেশটির করোনা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।