নিউজ পয়েন্ট সিলেট
মঙ্গলবার, ৪ মে, ২০২১
নিউজপয়েন্ট সিলেট ডেস্কঃ ইংল্যান্ড প্রবাসী হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আফরোজ মিয়া- রোজা রেখে ওল্ডহ্যাম থেকে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন শহর-গ্রাম-জনপদ ঘুরে ৩১৩ কিলোমিটার দৌড়ে আগামী ৮ মে শবে কদরের রাতে লন্ডন এসে পৌঁছাবেন এই চ্যারিটি ওয়ার্কার।
প্রতিদিন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ব্রিটেনের বিভিন্ন জনপদ দিয়ে দৌড়াচ্ছেন আফরোজ মিয়া।
ওল্ডহাম থেকে দৌড়ে ৩১৩ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে তিনি তার এই অভিযাত্রা শেষ করবেন চ্যানেল এস এর স্টুডিওতে।
গ্লোবাল রিলিফ ট্রাস্টের জন্য একশো পঞ্চাশ হাজার পাউন্ড তহবিল সংগ্রহের টার্গেট নির্ধারণ করে দৌড় শুরু করেন আফরোজ মিয়া। সংগৃহিত অর্থ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গরীব অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
আফরোজ মিয়া একজন শিক্ষক এবং আপাদমস্তক চ্যারিটি কর্মী। রমজান মাসে ৩১৩ কিলোমিটার দুরত্ব তিনি পাড়ি দিচ্ছেন দৌড়ে। এবং বর্তমানে নর্থহ্যাম্পটন হয়ে মিলটন কিংস, লোটন হয়ে লন্ডনের কাছাকাছি এসে পৌঁছেছেন। এরই মধ্যে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দৌড় সম্পন্ন করেছেন। চ্যারিটি ওয়ার্কার আফরোজ মিয়া যখন নর্থাম্পটন এসে পৌঁছান, তখন তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান কমিউনিটির বিশিষ্ট জনেরা।
আফরোজ মিয়া তার নিজের শহর ওল্ডহ্যাম থেকে লন্ডন পৌঁছার জন্য নির্ধারিত ২২দিনের মধ্যে প্রথম ১১ দিনের দিন গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১৫ কিলোমিটার দৌড়ান। গ্লোবাল রিলিফ ট্রাস্টের চ্যারিটি ফান্ডের জন্য ৪৭ বছর বয়সী এই আফরোজ মিয়া ২৭ এপ্রিল ১২ কিলোমিটার হার্টনের উদ্দেশ্যে সিমিলংয়ের সেন্ট জর্জ স্ট্রিট থেকে যাত্রা করে সম্পন্ন করেন।
গণিতের শিক্ষক আফরোজ মিয়া, রমজানের রোজা রাখা অবস্থায় প্রতিদিন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দৌড়ার এই কঠিন চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে দৌড়াদৌড়ি করার পরে তাঁর ‘পরবর্তী পাগল ধারণা’।
অসংখ্য মানুষের অনুপ্রেরণা আফরোজ মিয়া জানান, “গত বছর আমার উচ্চ রক্তচাপ হয়েছিল এবং ডাক্তার প্রায়ই আমাকে ওষুধ সেবন করতে বলেছেন। “আমি ওষুধ না দেওয়ার পরিবর্তে নিজেকে ফিট করার, নিজের ফিনেস লেভেল বাড়িয়ে শারীরিকভাবে ভালো থাকার প্রতিজ্ঞা করি”।
“আমি ৫০০ কিলোমিটার সাইকেল চালানোর জন্য চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন করে ৫০০ পাউন্ড সগ্রহ করি। এছাড়া আমি গ্লোবাল রিলিফ ট্রাস্টের জন্য ২০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে একটি স্কুলের জন্য ১২,০০০ পাউন্ড তহবিল জোগাড় করে শেষ করেছি। এভাবেই আমি প্রচুর দাতব্য কাজ করে যাচ্ছি।
“এই বছর আরও অর্থ সংগ্রহের জন্য আমার ক্রেজি অর্থাৎ পাগলামি ধরণের কিছু করা দরকার ছিল।” বললেন আফরোজ মিয়া। তিনি তার এই নতুন চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে এরই মধ্যে ৫০ হাজারের বেশি পাউন্ড জোগাড় করেছেন। তার ভাষায়, “মানুষের এই সমর্থন অসাধারণ।” “আমি চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছি এবং আমার ভাল লাগছে। দৌড়ে পার হয়ে আসা প্রতিটি শহর থেকে আমি অনুপ্রেরণা ও সমর্থন পেয়েছি।
নিউজপয়েন্ট সিলেট/এস